ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) জেতানোর অন্যতম কারিগর তিনি| তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত মিনি বিশ্বকাপে| অধিনায়ক রোহিত শর্মার আস্থার দাম দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ‘মিস্ট্রি’ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakravarthy)।
ম্যাচের আগের দিন আরসিবি কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার সাফ জানিয়ে দিলেন যে, তাঁদের শিবির চিন্তিত স্রেফ একজনকে নিয়েই| তিনি বরুণই, দেশকে চাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়ে বরুণ চলে এসেছেন আইপিএল খেলতে| আছেন দুরন্ত ছন্দে| জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন তারকা অধিনায়ক বরুণের ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন, ‘বরুণ দারুণ ফর্মে আছেন| টিভিতে ওর খেলা দেখে বেশ লেগেছে| আমরা ওকে শ্রদ্ধা করি| বলতে পারেন, দুরন্ত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই হবে| তবে যদি প্রশ্ন করেন যে, আমাদের ব্যাটাররা কীভাবে ওকে সামলাবেন? তাহলে তার উত্তর দেওয়া নিছকই বোকামি হয়ে যাবে|’
শুক্রবার, ফ্লাওয়ার সাংবাদিক বৈঠক করে যাওয়ার পর বরুণ এসেছিলেন কেকেআরের হয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে| নাইটদের ঘরের ছেলে বরুণের কাছে প্রশ্ন ছিল, কেকেআরের কোচিং স্টাফ ও দলবদল নিয়ে| বরুণ বলছেন, ‘দেখুন এটা তো হয়ই| পরিবর্তে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও অসাধারণ|’ চ্যাপিয়ন্স ট্রফি জেতার কথা যদিও বরুণ ভুলে যেতে চান| তিনি বলেন, ‘প্রতিটি টুর্নামেন্টেই একদম শূন্য থেকে শুরু করতে হয়| গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও তা ভুলতে হয়| তবে চ্যাপিয়ন্স ট্রফি জয়ের আগে বা পরে তেমন কোনও ফারাক ঘটেনি| আমাদের কোর টিম এক আছে| কুইন্টন ডি কক, মঈন আলি, আনরিখ নোকিয়ার মতো দুরন্ত ক্রিকেটাররা এসেছে| ট্রফি ধরে রাখাই আমাদের লক্ষ্য|’
বরুণের কাছে এদিন জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, এখন যেখানে প্রযুক্তির এমন রমরমা, সেখানে তাঁর রহস্য কীভাবে ফাঁস হল না এখনও পর্যন্ত? বরুণ বলেন, দেখুন বল পড়ে বাঁ-দিকে বা ডান দিকে যায়, নয় সোজা বা সেন্টারে মুভ করে! এর বেশি তো কিছু হয় না|’ রোহিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন বলেছিলেন যে, বরুণ নেটে রহস্য বল করেন না, তাহলে কখন তিনি গোপন অস্ত্রে শান দেন? বরুণের উত্তর, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি নতুন বল করার চেষ্টা করি’|
কিছুদিন আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে খেলেছেন তিনি, এবার কোহলির বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি| বরুণ বলছেন, ‘আমি বিরাট ভাইকে বল করতে মুখিয়ে আছি| রীতিমতো রোমাঞ্চিত| হোমওয়ার্ক করেই নামছি|’ বরুণ এদিন সুনীল নারিনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন| বলছেন, ‘খেলার অন্যতম গ্রেট ও, মাঠে নারিন যা করে, তাই আমি করার চেষ্টা করি| ওর অবদান প্রচুর| গতবারের মতো এবারও দারুণ কিছু করতে মরিয়া|’
যে কোনও জায়গায় বল করতে প্রস্তুত বরুণ| তাঁর সংযোজন, ‘অধিনায়ক ঠিক করবেন, কখন আমাকে ব্যবহার করবেন| আমি পাওয়ারপ্লে থেকে শুরু করে মিডল ওভার হোক বা ডেথ ওভার! সব জায়গায় বল করতে তৈরি|’ এবার থেকে আইপিএলে থুতুর ব্যবহার করতে পারবেন বোলাররা| বিসিসিআইয়ের এই নিয়মে খুশি বরুণ| বলেছেন, শিশির ফ্যাক্টর স্পিনারদেরও প্রভাবিত করে| বিশেষত ১১-১৩ ওভারে|