শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই জয় এসেছে। শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের মাটিতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলকে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে শনিবার ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জিততেই হবে নীতীশ রানাদের। এ বারের প্রতিযোগিতায় বেশ ভাল ছন্দে আছে লখনউ।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের আগেও প্রথম একাদশ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় কেকেআর শিবির। ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাবই মূল সমস্যা দলের। তাই এই ম্যাচেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাটিং অর্ডারে। প্রতিপক্ষে খুব বড় নাম না থাকলেও লখনউয়ের ভারসাম্য বেশ ভাল। ক্রুণাল পাণ্ড্যর দলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযোগী একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন। তার উপর শনিবার কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মাঠে নামবে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে। ফলে গ্যালারির একাংশের সমর্থন পেতে পারেন ক্রুণালরা।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে কেকেআর স্পিন আক্রমণে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ছন্দে না থাকা সুনীল নারাইনকেও চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চেনা মেজাজে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে থাকবেন বরুণ চক্রবর্তী এবং সুযশ শর্মা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে সুযশের বদলে অনুকূল রায়েকেও দেখা যেতে পারে শনিবারের ইডেনে।
ওপেনিং জুটিতে বদল হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। জেসন রয়ের জায়গায় দেখা যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জনসন চার্লসকে। যদিও কেকেআর শিবিরের একাংশ শেষ ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে নারাজ। চার্লস এবং জেসনের এক জনকে দেখা যাবে আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লা গুরবাজের সঙ্গে। ধারাবাহিকতার অভাব থাকলেও বেঙ্কটেশ আয়ারের খেলা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ব্যাটিং অর্ডারের চার থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত আসবেন নীতীশ, রিঙ্কু সিংহ এবং আন্দ্রে রাসেল।
জোরে বোলিং বিভাগেও বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম। হর্ষিত রানা এবং শার্দূল ঠাকুরকেই দেখা যেতে পারে নতুন বলে আক্রমণ শুরু করতে। কেকেআরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত হাঁটবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।