প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি এখনও দু’টি ম্যাচ। সোমবার গুজরাত টাইটান্সের মুখোমুখি শ্রেয়স আয়ারেরা। অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকবে কলকাতা। সেই ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও বদল হতে পারে? দেখা নেওয়া যাক কলকাতার সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।
ফিল সল্ট: গত ম্যাচে রান না পেলেও এ বারের কলকাতা দলের অন্যতম শক্তি ফিল সল্ট। ইংরেজ ওপেনারকে হয়তো প্লে-অফে পাবে না দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ইংল্যান্ড ডেকে নেবে তাঁকে। গুজরাতের বিরুদ্ধে দলের সফল ওপেনারকে বসাতে চাইবে না কেকেআর।
সুনীল নারাইন: সল্টের সঙ্গে নারাইনের জুটি এ বারের কেকেআরের জয়ের অন্যতম কারণ। প্লে-অফে জায়গা পাকা হলেও প্রথম স্থানে থাকতে অন্তত আরও একটি ম্যাচ জিততে হবে কলকাতাকে। তাই গুজরাতের বিরুদ্ধে জিততে চাইবে কেকেআর। কারণ শেষ ম্যাচ শক্তিশালী রাজস্থানের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গেই লড়াই প্রথম স্থানে থাকার।
বেঙ্কটেশ আয়ার: এ বারের আইপিএলে ধারাবাহিক নন বেঙ্কটেশ। কিন্তু প্লে-অফের আগে কলকাতা চাইবে তাঁকে রানে ফেরাতে। তাই আরও একটি ম্যাচে সুযোগ দিতেই পারে তারা। শেষ ম্যাচে রানও করেছেন বেঙ্কটেশ। ফলে দল থেকে বাদ না-ও পড়তে পারেন।
শ্রেয়স আয়ার: এ বারের আইপিএলে ব্যর্থ শ্রেয়স। তাঁর ব্যাটে রান নেই। কোনও ম্যাচে রান পেলেও মন্থর ইনিংস খেলছেন। মিডল অর্ডারে খেলার জন্য দলে মনীশ পাণ্ডের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ককে বাদ পড়তে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। প্লে-অফে জায়গা পাকা করে ফেলা অধিনায়ককে তো আরওই নয়।
নীতীশ রানা: চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন রানা। রানও করেছেন। তাই তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনাই নেই। বরং রানা ফেরায় সুবিধা হল কলকাতার। মিডল অর্ডারে শক্তি বাড়ল।
আন্দ্রে রাসেল: ব্যাট হাতে ফিনিশারের দায়িত্ব রয়েছে রাসেলের কাঁধে। আবার বল হাতে উইকেট নেওয়ার দায়িত্বও। সাবলীল ভাবে সেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দেশে ফিরে যেতে পারেন রাসেল। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফে তাঁকে পাবে না কেকেআর।
রিঙ্কু সিংহ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পাননি। ফিনিশার হিসাবেও এ বারের আইপিএলে তেমন সুযোগ পাননি রিঙ্কু। খুব বেশি রানও নেই ব্যাটে। তবুও তাঁর মতো ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। যে কোনও সময় ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন তিনি।
রমনদীপ সিংহ: রিঙ্কু এখন ফিনিশার হিসাবে পেয়েছেন রমনদীপকে। তাঁকেও কলকাতা লোয়ার অর্ডারে ব্যবহার করছে। ফিল্ডার হিসাবেও নজর কাড়ছেন তিনি। গুজরাতের বিরুদ্ধে দলে জায়গা পেতে পারেন রমনদীপও।
মিচেল স্টার্ক: প্রথম দিকে ম্যাচের পর ম্যাচ শুধু রান দিচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কেনা উচিত হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন অনেকে। তবে এ বারের আইপিএলে পরের দিকে ফর্মে ফিরেছেন স্টার্ক।
হর্ষিত রানা: এ বারের আইপিএলে নিয়মিত সুযোগ পেয়েছেন হর্ষিত। উইকেটও নিয়েছেন। স্টার্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বল করেছেন। একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন। এই ম্যাচেও তাঁকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
বরুণ চক্রবর্তী: প্রথম দিকে উইকেট নিতে পারছিলেন না বরুণ। রানও দিচ্ছিলেন। কিন্তু যত প্রতিযোগিতা এগিয়েছে, ততই ফর্মে ফিরেছেন তিনি। নারাইনের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাঝের ওভারে বিপক্ষের রানের গতিতে লাগাম পরাচ্ছেন বরুণ।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: গুজরাতের পিচে বৈভব আরোরাকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলাতে পারে কেকেআর। তিন পেসার নিয়েই খেলতে দেখা যাচ্ছে কেকেআর-কে। সোমবারেও সেটাই করতে পারে কলকাতা।