KK Demise: মঞ্চেই দরদর করে ঘামছিলেন কেকে, ভিড় ঠাসা স্টেডিয়াম আর উদ্যোক্তাদের দুষছে আমজনতা

মঙ্গলবার কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুনাথের মারা যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সত্যি তো, যেই মানুষটা কিছুক্ষণ আগেও সকলের মুখে হাসি ফোটাল, সেই মানুষটার গান শুনে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই খবর এল মারা গেছে, এমন কথা মেনে নেওয়া যায় না কি! সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়কের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি, অনেকেই দাবি তুলেছিলেন অনুষ্ঠানের সময়তেই শরীরে অস্বস্তি হচ্ছিল গায়কের। দু’চারটে ভিডিয়োও শেয়ার হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে দরদর করে ঘামছেন কেকে। কখনও আবার স্টেজের পিছনে এসে জল খাচ্ছেন, রুমালে মুখ মুছছেন। একটা ভিডিয়োতে মঞ্চে উপস্থিত একজনকে বলে উঠতে শোনা যায়, ‘কী গরম’, আর তাতে হেসে সম্মতিও জানান কেকে। একজনকে ডেকে লাইটও অফ করে দিতে বলেন। 

এরপরই কেকে-র লাইভ শোর আয়োজন করেছিলেন যে উদ্যোক্তারা, তাঁদের দিকে উঠছে আঙুল। কাল যাঁরা স্টেডিয়ামে ছিলেন তাঁদের দাবি এত লোক হয়ে গিয়েছিল যে গরম লাগছিল। একসময় মনে হচ্ছিল এসি বুঝি কাজ করছে না। অনেকেই দাবি করেছেন, ‘কেকে-র মুখ দেখেই মনে হচ্ছিল ওর অস্বস্তি হচ্ছে। এই উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তদন্ত করে দেখা উচিত ঠিক কত দর্শক হাজির হয়েছিল স্টেডিয়ামে। কলকাতার হিউমিডিতে এত লোককে একসঙ্গে বদ্ধ জায়গায় ঢুকিয়ে ওরা কেকে-কে মেরে ফেলল।’মসঙ্গে কারও দাবি এত লোক একসঙ্গে ঢুকে পড়ায় এসি কাজ করছিল না নজরুল মঞ্চে।

প্রসঙ্গত, রাত ন’টা নাগাদ মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছান গায়ক। সেখানেই হোটেলকর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান। হোটেল সূত্রে খবর, রুমে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী। দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর, ঠোঁটে চোট আছে গায়কের। তাঁকে সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বমি করেছিলেন গায়ক। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হওয়ায়, ময়নাতদন্ত হবে কেকে-র মরদেহের। তবে মনে করা হচ্ছে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.