ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে ঋণ শোধ করতে বাড়িওয়ালার শিশু সন্তানকে অপহরণ। শিশুকে খুঁজতে পুলিশ সক্রিয় হতেই চাপ বাড়তে থাকে অপহরণকারীর উপর। সেই চাপ সামলাতে না পেরে শিশুকে খুন করেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আর গ্রেফতারির পর ঘটনা শুনে পুলিশেরই চক্ষু চড়কগাছ! পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সঞ্জীব পণ্ডা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে কোডারমার বাসিন্দা সঞ্জীব মেধাবী ছাত্র। একটি নামী বেসরকারি কলেজ থেকে এমবিএ করেন। তার পর বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি। এরই মধ্যে বিয়ে করেন সঞ্জীব। মধুচন্দ্রিমায় যান বিদেশে। কেনেন নিজের গাড়িও। আর তা করতে গিয়েই বাজারে অনেক ঋণ হয়ে যায় তাঁর। চাকরি করে সেই ধার শোধ করবেন, এমনই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু করোনাকালে আরও অনেকের মতোই চাকরি যায় সঞ্জীবের। পরিবার নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে রাঁচীতে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু পাওনাদারেরা ছাড়বেন কেন! নিত্যই চলছিল বকেয়া টাকা চেয়ে তাগাদা। অনেক ভেবে একটি পরিকল্পনা ছকেন সঞ্জীব। যে বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন, তারই মালিকের শিশু সন্তানকে অপহরণ করেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল, এ ভাবে ধার শোধের টাকাটা তুলে ফেলতে পারবেন। সেই মতো ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে পাঠান।
এ দিকে সন্তানের অপহরণের খবর পুলিশে জানান বাড়িওয়ালা। পুলিশ সক্রিয় হয় শিশুর খোঁজে। তাতেই ঘাবড়ে যান সঞ্জীব। সূত্রের খবর, ভয় পেয়ে অপহরণ করা বাড়িওয়ালার শিশু সন্তানকে খুন করে ফেলেন তিনি। তার পরেও পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বিভিন্ন কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেলেন এমবিএ পাশ যুবক।