Khalna Lakshmi Puja: বন্যা থেকে বাঁচতে একদা ধনদেবীর শরণ নিয়েছিল ‘মা লক্ষ্মীর গ্রাম’ খালনা…

হাওড়া জেলার আমতা বিধানসভার খালনা গ্রাম। এই গ্রামে দুর্গাপুজোর থেকেও বড় পুজো হল লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। লক্ষ্মী পুজোকেই এ অঞ্চলে আসল পুজো হিসেবে ধরা হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামে লক্ষ্মীর আরাধনা মহা ধুমধাম ও আড়ম্বরের সঙ্গে হয়ে আসছে। গোটা গ্রাম কার্যত মেতে ওঠে এই লক্ষ্মী পুজোতেই। বাঙালির বড় পুজো দুর্গা পুজো হলেও খালনা গ্রামে দুর্গাপুজোর থেকে লক্ষ্মীপুজোকেই বড় পুজো হিসেবে ধরেন এখানকার মানুষ। দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন এই গ্রামের লক্ষ্মী পুজো দেখতে। সারারাত ধরে দর্শনার্থীর সমাগমে ভরে ওঠে এই গ্রাম।

জানা যায়, একসময় এই গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে বহু মানুষ ক্ষতির মুখে পড়তেন। কেননা বেশিরভাগ মানুষই এখানে কৃষিপ্রধান। বাকি কিছু মানুষ বাইরে সোনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য ধনসম্পদের দেবী আরাধনা শুরু করেন তাঁরা। সেই থেকেই চলে আসছে এই পুজো।

গ্রামের বাড়ি-সহ সর্বজনীন পুজো মিলে এবং ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক পুজো এখানে হয়। বাইরে থাকা পরিবারের লোকজনের এ সময়ে যত কাজই থাক, এই লক্ষ্মী পুজোয় তাঁরা খালনা গ্রামে চলে আসবেনই। 

এই খালনা গ্রামের মানুষ তিন দিন ধরে লক্ষ্মী আরাধনায় মেতে ওঠেন। চারিদিকে সেজে ওঠে গ্রাম। চোখ-ধাঁধানো প্রতিমা সঙ্গে থিমের প্যান্ডেল– কোথাও বদ্রীনাথ, কোথাও ইস্কনের আদলে মণ্ডপ, কোথাও-বা আলিপুর জেলের আদলে মণ্ডপ। দোকানপাট বসে প্রচুর,‌ আর তার সঙ্গে দর্শনার্থীর ভিড়ে খালনা গ্রাম কার্যত হয়ে ওঠে মা লক্ষ্মীর গ্রাম। এমনই মনে করেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্নিভালের ব্যবস্থাও পুজোর শেষে করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.