মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে একজন ব্যক্তির বাড়িতে কোট্টায়াম পুলিসের মাদকবিরোধী স্কোয়াড হঠাৎ অনুসন্ধান করে। এরপরেই ঘটে অত্যাশ্চর্য ঘটনা। সেখানে বেশ কয়েকটি হিংস্র কুকুরের উপস্থিতির কারণে তাদের এই অভিযান সমস্যায় পরে। জানা গিয়েছে সেই কুকুরগুলিকে ‘খাকি’ পোশাক পরা কাউকে দেখলেই কামড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল।
এই কুকুরগুলির উপস্থিতি রবিবার রাতের অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বাধার মুখে ফেলে এবং অভিযুক্তদের পুলিসের হাত থেকে পালানোর সুযোগ করে দেয়।
যদিও, কুকুরগুলিকে দমন করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল বলে পুলিস জানিয়েছে।
কোট্টায়ামের এসপি কে কার্তিক বলেছিলেন যে প্রায় মধ্যরাতে গান্ধীনগর থানার আধিকারিকদের নিয়ে অনুসন্ধান দলটি সেখানে পৌঁছেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করিনি যে এখানে এত কুকুর থাকবে এবং তারা হিংস্র হবে। তাই, আমরা সঠিক অনুসন্ধান চালাতে প্রাথমিকভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। সৌভাগ্যবশত, অফিসারদের কেউ আহত হয়নি’।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি খাকি পোশাক দেখলেই কামড়ানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল কুকুরকে। বিএসএফ থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন ওই ব্যক্তিকে কুকুর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়েছিল’।
জেলা পুলিসের শীর্ষ আধিকারিক আরও বলেছেন যে অভিযুক্তরা কুকুরের প্রশিক্ষক হওয়ার ছদ্মবেশে মাদক বিক্রি করছিল এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৭ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধারের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সে (অভিযুক্ত) এখানে ভাড়ায় বসবাস করত এবং এলাকার সকলের কাছে কুকুর প্রশিক্ষক হিসাবে পরিচিত ছিল। তাই, লোকেরা বাইরে গেলে দিনে ১০০০ টাকা রেটে তাঁর কাছে নিজের কুকুরকে রেখে যেত’।
প্রায় ১৩টি কুকুর সেখানে উপস্থিত ছিল এবং তাদের মালিকদের শনাক্ত করার পর কুকুরগুলোকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথমে অভিযুক্তকে ধরতে হবে এবং তারপরে খুঁজে বের করতে হবে যে অন্য কেউ এই র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা’।