Kerala High Court on Looking After Children: পরিবারের মহিলাদেরই দেখাশোনা করতে হবে শিশুদের, পর্যবেক্ষণ কেরল HC-র

ভারতীয় প্রেক্ষাপটে, পরিবারের মহিলা সদস্যদের শিশুদের দেখাশোনা করতে হবে। এমনই পর্যবেক্ষণ কেরল হাই কোর্টের। উচ্চ আদালতের কথায়, আমরা এখনও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলির স্তরে পৌঁছতে পারিনি। সেখানে সমকামী বিবাহ বৈধ এবং প্রত্যেকেই সন্তানের লালন পালন করতে পারেন। কেরল উচ্চ আদালতের বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস এবং সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

উল্লেখ্য, ৪ বছর বয়সি শিশুকন্যার এক বাবা কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গুজরাটের সেই বাসিন্দার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে তাঁর সন্তানকে। সন্তানকে মুক্ত করতে চেয়ে উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানি হচ্ছিল কেরল উচ্চ আদালতের বিচারপতি আলেকজান্ডার থমাস এবং সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে, ভারতে মহিলারাই সন্তানের দেখভাল করার ক্ষেত্রে বেশি উপযুক্ত।

আদালত নোট করে যে আবেদনকারী গুজরাটে থাকেন। এবং তাঁর সঙ্গে কোনও মহিলা থাকেন না যিনি সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারবেন। এই আবহে আদালত আবেদনকারীকে বলে, ‘নাবালিকার দেখাশোনা কে করবে? আপনি একজন ৩৮ বছর বয়সি পুরুষ। আপনি একা থাকেন। এবং আপনি একটি চার বছরের শিশুর যত্ন নেবেন এবং তাও একটি কন্যাসন্তানের? কোনও বিবেকবান আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করবে না। শিশুর লিঙ্গ নির্বিশেষে, ১০ বছরের ছোট সন্তানের দেখাশোনা করা আপনার পক্ষে খুব কঠিন কাজ। আপনি কাজ করতে যাবেন এবং শিশুরা অনেক বিপজ্জনক জিনিসের সংস্পর্শে আসতে পারে। বর্তমান ছোট শিশুদের বিরুদ্ধেও যৌন সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। শিশুর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি আপনি একটি বাইরের রাজ্যে বসবাস করেন।’ আদালত বলে, ‘বাড়িতে সবসময় একজন মহিলার থাকা উচিত। হয় মা, শ্যালিকা, শাশুড়ি, নানী, কেউ না কেউ বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য বাড়িতে থাকা উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.