বেশি সন্তান হলে মিলবে ভাতা, তার সাথে সন্তানদের পড়াশুনার খরচ ফ্রি, ঘোষণা করলো কেরালার চার্চ।
খ্রীষ্টান দম্পতিদের জন্য সুখবর শোনালো কেরালার চার্চ। একদিকে ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ, অন্যদিকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়িয়ে সুকৌশলে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার পরিকল্পনা হিসেবে প্রভাবশালী চার্চের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।
কিন্তু এই অবস্থায় হিন্দুদের অবস্থা সবচাইতে খারাপ হচ্ছে পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যান বলছে গত ১১ দশকে হিন্দু জনসংখ্যার অনুপাত ১৪ শতাংশ কমেছে যা জনসংখ্যার অনুপাতে হিন্দুদেরকে বিপদসীমায় নামিয়ে এনেছে ।
কেরালার বিশপ জোসেফ কালারঙাট জানিয়েছেন একগুচ্ছ প্রকল্প আনা হবে যেগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে খৃষ্টানদের আরো বেশি করে পরিবার বড় করার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া ও একই সাথে যারা খ্রিষ্টান নয় অর্থাৎ হিন্দু তাদের খ্রীষ্টান হওয়ার টোপ দেওয়া। এক্ষেত্রে মুসলিমদের ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে ধর্তব্যের মধ্যে রাখছে না চার্চ, কারণ তারা জানে ধর্মীয় কট্টর মুসলিমদের ধর্মান্তরের অলীক কল্পনা করে লাভ নেই, কিন্তু গরিব হিন্দুদেরকে সহজেই ভুলিয়ে ভালিয়ে খ্রিষ্টান বানানো যাবে।
কি আছে এই প্রকল্পে ?
যে সব খ্রীষ্টান দম্পতির ২০০০ সালের পর বিবাহ হয়েছে এবং যারা গোঁড়া খ্রীষ্টান , তাদের চারটে বা তার বেশি সন্তান হলে মিলবে মাসে ১৫০০ টাকার ভাতা , এছাড়া মিলবে প্রেগন্যান্সির যাবতীয় খরচ, এমনকি সন্তানদের পড়াশুনার খরচও।
কেরালায় খ্রীষ্টান সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়াবার লক্ষেই এই পদক্ষেপ নেয়া বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত , কেরালার অধিকাংশ স্কুল , কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে খ্রীষ্টান মিশনারিরাই , আর এর পরেই রয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি। এই ব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে হিন্দুরা।
খৃষ্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষে এই নতুন পরিবার পরিকল্পনা এবং এটির প্রয়োজনীতা অপরিসীম বলে বিশপ জোসেফের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ্য সমর্থন জানিয়েছে কেরালার ক্যাথলিক বিশপ কাউন্সিল।