মঙ্গলবার কেবিসি-র হট সিটে হাজির হয়েছিলেন চিরাগ। পেশায় তিনি একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট। মুম্বইয়ের চিরাগ কর্মসূত্রে আমেরিকায় কাজের সুযোগ পেয়েছিল। সেখানে সে দিয়েও ছিল। কিন্তু ছোট ভাইয়ের খুন হওয়ার খবর পেয়ে মার্কিন মুলুক থেকে বাড়ি ফিরতে হয়ে তাঁকে। এই ঘটনা শোনামাত্রই দৃশ্যতই বোবা হয়ে যান উল্টোদিকে শো-এর সঞ্চালকের সিটে বসা অমিতাভ বচ্চন।
শো চলাকালীন চিরাগের সম্বন্ধীয় একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। সেই সুবাদেই জানা যায় মাত্র ২১ বছর বয়সে চিরাগের ছোট ভাই ময়াঙ্ক মুম্বইয়ে একটি কোচিং সেন্টার শুরু করেছিলেন। ততদিনে মার্কিন মুলুকে কাজের সন্ধান পেয়ে গেছেন চিরাগ। নিজের হাতে পরিবারের খেয়াল রাখবে বলে দাদাকে কথা দিয়েছিলেন ময়াঙ্ক। এর কিছুদিন পরেই ছোটভাইয়ের খুন হওয়ার খবর পান তিনি। শো-তে অবশ্য ময়াঙ্কের খুনির নাম তিনি ফাঁস করেননি। ওই ভিডিওতে আরও দেখা গেছে কীভাবে ময়াঙ্কের খুনের পর তাঁর কোচিংয়ের পড়ুয়ারা তাঁদের প্রয়াত শিক্ষকের উদ্দেশে মোমবাতি হাতে নিয়ে পায়ে হেঁটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছেন। এরপর চিরাগ জানান যে তাঁর একটাই লক্ষ্য, ময়াঙ্কের এই কোচিং যেন চালু থাকে যার ফলে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীরা যেন এখানে এসে পড়ার সুযোগ পান।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
স্বভাবতই চিরাগের এই কাহিনি শুনে স্তব্ধ হয়ে যান ‘বিগ বি’। খানিকক্ষণ পর কোনওরকমে তিনি চিরাগকে শুধু জিজ্ঞেস করেন,’আমার জিগেস করতেও যারপরনাই কষ্ট হচ্ছে। তবু প্রশ্ন করছি, অপরাধী কি ধরা পড়েছিল?’ জবাবে চিরাগ জানান যে আততায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে সেসবই এখন অতীত। হাজার কিছু করলেও এখন আর ফিরে আসবে না ময়াঙ্ক। তিনি যা করতে পারেন তা হল ময়াঙ্কের আদর্শকে, এই কোচিং সেন্টারকে বাঁচিয়ে রাখতে। এইমুহূর্তে এটাই তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ব্রত।
প্রসঙ্গত, নিজের প্রাক্তন সহকর্মীর হাতে মাত্র ২৮ বছরে খুন হয়েছিলেন ময়াঙ্ক। পরবর্তী সময়ে আততায়ী পুলিশকে জানিয়েছিল এক মাসের বেতন তাঁকে নাকি দেয়নি ময়াঙ্ক, যার জেরেই সে খুন করে তাঁকে।