আজ, সোমবার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই নিল কর্ণাটক সরকার। ইংরেজি নববর্ষের আগেই তারা পাবলিক প্লেসে মাস্ক বাধ্য়তামূলক করে দিল। সামনেই ইংরেজি নববর্ষের উদযাপন। এই সময়ে পাব, বার এবং রেস্তোরাঁগুলিতে যাঁরা যাবেন তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হবে। স্কুল-কলেজ মল এবং মুভি থিয়েটারেও পরতে হবে মাস্ক। কেন সহসা কর্নাটক সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল? আসলে সকলের মনেই কাজ করছে চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত। চিনে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বহু মৃত্যু ঘটছে। শ্মশানে মরদেহের সারি। চিনের হাসপাতালগুলিও চিকিৎসা-পরিষেবা দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখেই কর্নাটক দ্রুত মাস্ক বাধ্যতামূলক করে দিল।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর বলেছেন, স্কুল-কলেজে এবং মুভি থিয়েটারে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হল। নববর্ষ উদযাপনেও মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন তিনি।
চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। একদিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে যেমন চাপ বেড়েছে চিনের হাসপাতালগুলিতে, তেমনই মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে শ্মশান।
চিনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ত্রাসের হয়ে উঠছে। একদিনে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিনের কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। চিনে কোভিড সংক্রমণের হার এখনও বাড়ছে এবং অনুমান করা হচ্ছে, বেইজিং ও সিচুয়ানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। গত রবিবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যারা দৈনিক ভিত্তিতে দেশের কোভিড-১৯ মামলার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে, তারা করোনা আক্রান্তের সরকারি রিপোর্ট পেশ বন্ধ করে দিয়েছে।