বারাবনির পর কাঁকসা থানা, মমতার মন্তব্যের পর আইসিকে ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’-এ পাঠাল নবান্ন

এ বার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষকে ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’- এ পাঠানো হল। শুক্রবার এই মর্মে নবান্ন থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শনিবার পার্থকে রিপোর্ট করতে হবে ভবানী ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর এর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে পুলিশ। এ বার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পদক্ষেপ করা হল আর এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার নবান্নে পুলিশের নিচুতলার একাংশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা। তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একটি অংশ। তাঁর কথায়, “সিআইএসএফের একাংশ বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে— এটা আমি হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এবং এই মন্তব্যের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। তার শুরুটা হয়েছে বারাবনি থানার এসআইকে দিয়ে।

অতিরিক্ত ডিজি এবং আইজিপি (আইনশৃঙ্খলা) এবং আইজিইর (হেড কোয়ার্টার) সই সম্বলিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, কাঁকসা থানার আইসিকে অবিলম্বে কলকাতার ভবানী ভবনে রিপোর্ট করার জন্য। পাশাপাশি মনোরঞ্জনকে গত ১৯ নভেম্বর অন্ডাল থানায় বদলির যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বালি এবং কয়লা পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া মন্তব্যের পর ‘অতিসক্রিয়’ সিআইডি এবং এস টিএফ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছে তারা। লোহা পাচারের অভিযোগে দুর্গাপুরে তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন স্থানীয় ব্লক সহ-সভাপতি এবং অন্য জন ওই ব্লকেরই প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।

অন্য দিকে, রাজ্য গোয়েন্দা দফতরে রদবদলের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো’-কে আরও শক্তিশালী করারও নির্দেশ দেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.