সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামারকুণ্ডু উড়ালপুলের উদ্বোধনের তিন দিনের মাথায় উঠে গেল পিচের আস্তরণ। এত তাড়াতাড়ি উড়ালপুলের পিচের আস্তরণ উঠে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কামারকুণ্ডু উড়ালপুল উদ্বোধনের পর থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। গত ৩ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন। রেল এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই উড়ালপুল তৈরি করার পরেও কেন রেলকে আমন্ত্রণ হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর নবনির্মিত এই উড়ালপুলের পিচের আস্তরণ উঠে যাওয়ায় ফের প্রশ্ন উঠছে।
কামারকুণ্ডু রেলগেটের উপরে এই উড়ালপুল তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকাকালীন সেখানে উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল অবশেষে ২০১৫ সালে রেল উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয় এবং ২০২১ সালে কাজ শেষ হয়। গত ৩ জুন অর্থাৎ গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেমেলিয়া গ্রামে সন্তোষী মাতার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন। তারপরেই টুইটে উড়ালপুল তৈরির খরচের হিসেব তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, উড়ালপুল নির্মাণের জন্য মোট ৪৪.৮৬ কোটি টাকা খরচ হয়। যার মধ্যে রাজ্য ১৮.১৬ কোটি টাকা খরচ করে। বাকিটা দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে রেলকে না জানিয়ে যুক্ত রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আঘাত করেছেন। উল্লেখ্য, উদ্বোধনের দিনই উড়ালপুলের উপরে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক আরোহীর। আর তার পরেই কামারকুণ্ডু উড়ালপুলে পিচের আস্তরণ উঠে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, উড়ালপুলের কোথাও উপরে পিচ উঠে যাচ্ছে আবার বেশ কিছু জায়গায় ৪-৫ ইঞ্চি পিচ বসে গিয়েছে। ফলে চলে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এখন গরমের কারণে পিচ উঠে যাচ্ছে নাকি অন্য কারণে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, উড়ালপুলে যাতায়াত সুরক্ষিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে উড়ালপুলটি যেহেতু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে তাই এনিয়ে কেউই প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছে না। তবে উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। এদিকে, বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ জুন কামারকুণ্ডু যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।