বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে বৃহস্পতিবার হামলা হয়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকার কারণে নাড্ডার এই যাত্রায় রক্ষা পায়, কিন্তু দলের মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) বাম হাতের লিগামেন্টে ফ্র্যাকচার হয়েছে। শুক্রবার ওনার মেডিক্যাল রিপোর্ট এসেছে। বিজয়বর্গীয়র গাড়ির কাঁচ ভাঙার পর তিনি নিজের হাত দিয়ে পাথর রুখেছিলেন। আর সেই সময় ওনার হাতে আঘাত লাগে।
লিগামেন্ট হাড় সংযুক্তি করতে সহায়ক, সুতরাং যখনই লিগামেন্টটি যখন খুব চাপের মধ্যে থাকে তবে এটি ভেঙে যায়। লিগামেন্ট ভেঙে গেলে অত্যাধিক ব্যথা হয়। হঠাৎ পড়ে যাওয়ার কারণে লিগামেন্ট অনেকসময় ফেটে যায়। আঘাতের জায়গায় ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে সেই স্থান নীল হয়ে যায়। লিগামেন্ট ঠিক করার জন্য প্ল্যাস্টার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সার্জারি করা হয়।
জানিয়ে দিই, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা সফর নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাড্ডার কনভয়ে হামলা করা হয়েছিল, আর ওনার গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। এরপর রাজ্যের শাসক দল আর বিজেপির মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হামলার পর নাড্ডা বলেন, ওনার গাড়ি বুলেটপ্রুফ না হলে পরিণাম ভয়ঙ্কর হত।
নাড্ডার উপর হামলার পর বিজেপি আক্রমণাত্বক হলে মমতা ব্যানার্জীও পাল্টা আক্রমণ করেন। মমতা ব্যানার্জী এই হামলাকে নাটক বলে আখ্যা দেন আর বলেন, এত কড়া সুরক্ষার মাঝে কেউ কীভাবে ঢুকে হামলা করতে পারে? মমতা ব্যানার্জী অভিযোগ করে বলেন, শিরোনামে থাকার জন্য বিজেপি নিজেদের উপর হামলা করাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জেপি নাড্ডার উপর হওয়া হামলার নিন্দা করেন, এছাড়াও তিনি রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে এই নিয়ে বিস্তৃত রিপোর্ট চান। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই বিষয়ে শুক্রবার একটি প্রেস কনফারেন্স করবেন। জানিয়ে দিই, বিজেপি রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে।