পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়লেন আত্মবিশ্বাসী সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন সকাল থেকেই পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের পাতরাডি গ্রামে বাড়িতে গিয়ে মায়ের ও বড়দের আশীর্বাদ নেন। সেখান থেকে একটি গ্রামে নবকুঞ্জ নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পর এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে নির্বাচনী প্রচার সারলেন তিনি।
এলাকার গেরুয়া শিবিরের কার্যকর্তা, কর্মী সমর্থকরা বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “পুরুলিয়ায় আবারও দারুণভাবে আমরা জিতব। ব্যবধান আরও বেশি হবে।” আত্মবিশ্বাসী জ্যোতির্ময় প্রথম দিনের প্রচার সেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিকেলে সদলবলে পুরুলিয়া ১ ব্লকের চিড়কা গ্রামের জাগ্রত শিব মন্দিরে পুজো দেন। সেখান থেকে জয়পুরে এমপি কাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলায় উৎসাহ দিতে উপস্থিত হন। তাঁর উদ্যোগেই এক মাস ধরে ওই প্রতিযোগিতা হয়। পুরুলিয়া লোকসভায় এবারও তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছে দল। গত বারের জয়ী সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতকেই পুরুলিয়ায় এবারও লোকসভার প্রার্থী করল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতর সঙ্গে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। নাম ঘোষণা হতেই রবিবার থেকেই বর্তমান সাংসদ প্রচারে নেমে পড়েন।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেছেন, “গতবারে আমরা ২ লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু এবার টার্গেট অন্য। মোদীজিকে চারশো আসনে জয়ী করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করা। আমি এখানে প্রার্থী এটা ফ্যাক্টর নয়, প্রার্থী এখানে মোদীজি। সাড়ে তিন লাখ ভোটে মোদীজিকে পুরুলিয়ার মানুষ জিতিয়ে লোকসভার সদস্য বানাবেন।”
গতবারের পরিস্থিতি আরও কঠিন ছিল। কোনও বিধায়ক ছিল না বিজেপির। সেই জায়গা থেকে জ্যোতির্ময় দুর্দান্ত জয় পান। কথাগুলো বলছিলেন দলের বিভাগীয় আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তি। তিনি বলেন, “এবার আরও শক্তিশালী দল। ফল আরও ভালো হবেই।”