আদালত ও বিচার ব্যবস্থা পরিদর্শনে পুরুলিয়ায় আসা বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে নিজেদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বললেন টেট উত্তীর্ণরা। আদালত চত্বরেই টেট উত্তীর্ণদের কয়েকজন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বিচারপতিকে কাছে পেয়ে সেখানেই তাঁদের বিষয় নিয়ে বলেন।
পুরুলিয়ার বাসিন্দা সুজাতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছি। কিন্তু এখনও চাকরি পাইনি। তাই বিষয়টি দেখার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছি।” টেট উত্তীর্ণ পুরুলিয়ার বাসিন্দা তনুশ্রী মণ্ডল বলেন, “উনার জন্যই তো আমরা আশার আলো দেখছি। না হলে তো সবই শেষ হয়ে গিয়েছিল। উনাকে চাক্ষুষ করতে পেরে ধন্য মনে করছি। তবে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।”
রুটিং পরিদর্শন বলেই জানালেন তিনি। পুরুলিয়া জেলা আদালতে এসে তিনি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাননি। সকাল দশটায় আদালতে আসেন। সেখানে একটি পরিশ্রুত ঠান্ডা পানীয় জলের ইউনিটের উদ্বোধন করেন। তার পরই বিচারকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। নব নির্মিত আদালত ভবন পরিদর্শন ও পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জেলাশাসক রজত নন্দা, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আদালতের কক্ষে বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় তিরিশ মিনিট বৈঠকের পর তাঁরা বেরিয়ে যান। শুধু টেট উত্তীর্ণরাই নন এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাক্ষুষ করতে আদালত চত্বরে ভিড় করেন কৌতূহলীরা। তাঁদের মধ্যে রণজিৎ কুন্ডু বলেন, “অভিজিৎ বাবুকে চাক্ষুষ করতেই এখানে এসেছি। বাংলার জন্য কিছু করছেন। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তাঁদের তদন্ত করে চিহ্নিত করা এবং সাজা হওয়া প্রয়োজন।”