তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। আবার তিনি ভাটাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও বটে। দু’জায়গা থেকেই তিনি বেতন নেন।
পাসপোর্টের নথি অনুযায়ী তিনি মাধ্যমিক পাশ করেননি। অথচ তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। আবার তিনি ভাটাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানও বটে। দু’জায়গা থেকেই তিনি বেতন নেন। সেই তৃণমূল নেতা তথা ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উত্তর ২৪ পরগনার নীলিমা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দেবজ্যোতি ঘোষকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কোয়ানা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। অথচ দেবজ্যোতি ঘোষ অযোগ্য হলেও চাকরি পেয়েছেন। তাঁর পাসপোর্টে উল্লেখ আছে তিনি অষ্টম-নবম শ্রেণি পাশ। তা ছাড়া তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে তিনি যেমন বেতন নিচ্ছেন তেমনি পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে মাসে ১৭ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। যা একেবারেই নিয়ম বিরুদ্ধ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিতে দেবজ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। এমন কী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটিরও প্রাক্তন সদস্য ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ।
সমস্ত অভিযোগ শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর বেলা একটার সময় হাইকোর্ট তাঁর এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।