ষষ্ঠীর দিনই ‘অভয়া পরিক্রমা’ ঘিরে শহরে ধুন্ধুমার। এদিন পরিক্রমা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মতো এদিন দুপুরের পরই মিনিডোর আনা হচ্ছিল ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। কিন্তু চাঁদনি চকে সেই মিনিডোরগুলিকে পুলিস বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, গাড়ির চাবি খুলে নিয়েছে পুলিস। এরপরেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন এক মহিলা পুলিস।
আর জি কর মেডিক্যালের নিহত চিকিৎসক ও জয়নগরে নিহত ৯ বছরের বালিকার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে ষষ্ঠীর দিন ম্যাটাডোরে চড়ে শহরে ঘুরবেন জুনিয়র ডাক্তাররা, এমনই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু পুজোর মধ্যে কোনও মিছিল বা এমন কর্মসূচির কোনও অনুমতি দেয়নি পুলিস। কিন্তু এরপরও পরিক্রমার আয়োজন করতেই বেঁধে যায় গন্ডগোল। সেই কারণে ধর্মতলা চত্বর কার্যত অবরুদ্ধ। মিনিডোর আটকানোর খবর পেয়ে ধর্মতলার অনশন মঞ্চের সামনে থেকে অনেক জুনিয়র ডাক্তাররা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁদের সঙ্গেই মূলত বচসা হয় পুলিসের।
জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন, বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবির হবে। এরপর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে ১০ দফা দাবি লেখা লিফলেট বিলি করা হবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে হবে অভয়া পরিক্রমা। সেই কর্মসূচির শুরুর আগেই বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা।
এরপরেই ধরণা মঞ্চে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিত্সকদের বৈঠকের জন্য স্বাস্থ্যভবনে ডাকা হল ষষ্ঠীতেই। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ তাঁদের সেখানে যেতে বলা হয়েছে। এদিন ইমেল মারফৎ জুনিয়র ডাক্তারদের এই বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান খোদ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের ৮ থেকে ১০ জন এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।