‘র্যাগিংয়েই মৃত্যু যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার’। উপাচার্যকে রিপোর্ট দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। শুধু তাই নয়, ‘ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যর্থতারও প্রমাণ মিলেছে’।
দুই সপ্তাহ পার। যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড় চলছে এখনও। এদিন ধৃত সৌরভ চৌধুরীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। অভিযুক্তকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। শুধু তাই নয়, জেলে গিয়ে তাঁকে জেরার করার অনুমতি দেওয়া হল পুলিসকে।
এদিকে হস্টেলে পড়ুয়ার মৃত্যুতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত ১০ বার বৈঠক করেছেন কমিটির সদস্যরা। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন, ডাক্তার, হস্টেলে সুপার, এমনকী পড়ুয়াদেরও। কীভাবে মৃত্যু প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার? এদিন যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের এবার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিলেন কমিটির সদস্যরা।
রিপোর্টে উল্লেখ, ‘গত কয়েক বছর ধরে র্যাগিং ঘটনায় সুপারিশ অনুযায়ী যে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রমাণ মিলেছে। যাদবপুর মেইন হস্টেলে র্যাগিং আগেও হয়েছে। র্যাগিংয়েই মৃত্যু যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। কীভাবে পড়ে যায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মূল অভিযুক্তরা এখন পুলিস হেফাজতে’। এর আগে, প্রাথমিক তদন্তেও যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি র্যাগিং যোগের ইঙ্গিত পেয়েছিল। সূত্রের খবর তেমনই।
এদিকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি বসছে যাদবপুরে। অবশেষে ওয়ার্ক অর্ডারে স্বাক্ষর করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার। কবে? আজ, শুক্রবার বিকেলে। সূত্রের খবর, একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই ক্য়াম্পাসে ১০ জায়গায় লাগানো হবে সিসিটিভি। খরচ, প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা।