রেলের খাতায় তিনি ‘মৃত’৷ ২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তার৷ কিন্তু ফেসবুকে দিব্যি প্রোফাইল খুলে বসেছিলেন অমৃতাভ চৌধুরী৷ যদিও ফেসবুকে সাহেব চৌধুরীর নামে প্রোফাইল খুলেছিলেন অমৃতাভ৷ জানা গিয়েছে সাহেব তার ডাক নাম৷
বর্ধমানের মন্তেশ্বরে একটি বহুতল তৈরি করে ফ্ল্যাট এবং দোকান বিক্রি করছিলেন অমৃতাভ৷ বছর দেড়েক আগে ওই বহুতল তৈরি করতে শুরু করেন তিনি৷ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেই থেকেই নিজের প্রোমোটিং করা ওই বহুতলের ফ্ল্যাট এবং দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত সে৷ অমৃতাভর এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্যই বলছে, গত এপ্রিল মাসেও এই প্রোফাইলে সক্রিয় ছিল সে৷ গত ৫ এপ্রিল নিজের তৈরি বহুতলে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনও দেয় সে৷
অন্যদিকে অমৃতাভর পরিচয় নিয়ে এখনও নিঃসংশয় হতে পারেনি সিবিআই৷ প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা জেরার পর অমৃতাভ এবং তার বাবাকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চায় সিবিআই৷ অভিযুক্ত অমৃতাভই মিহির চৌধুরীর ছেলে কি না, ডিএনএ পরীক্ষা করে সে বিষয়েই নিশ্চিত হতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা৷ কারণ অমৃতাভ এবং মিহির বাবুর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে৷ অমৃতাভর বয়স নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে৷ যদিও অমৃতাভকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি৷ সিবিআই-কে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে আগামী ২ জুলাই-এর মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক৷
অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরী ২০১০ সালের মে মাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিল ৷ অভিযোগ, দুর্ঘটনায় অমৃতাভর মৃত্যু না হলেও ভুয়ো নথি দেখিয়ে রেলের থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা এবং বোনের জন্য চাকরি আদায় করে নেয় অমৃতাভর পরিবার৷ কিন্তু ঘটনার প্রায় ১১ বছর পরে অভ্যন্তরীণ তদন্তে রেল জানতে পারে, অমৃতাভ আসলে জীবিত৷ এর পরেই সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ দায়ের হয়৷