আচমকাই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ করেছিল মোদী সরকার। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে দেওয়া হয়। এতে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয় সেখানকার মানুষের মনে। এবার তা নিয়েই কেন্দ্রের মনোভাব স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র অমিত শাহ।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রের কড়া নীতির ফলে লোকসভা নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও ভোট দিয়েছে। আাগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে ভোট হবে। ওই নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে জম্মু ও কাশ্মীরকে তার রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করবে কেন্দ্র।
ওই সাক্ষাতকারে অমিত শাহ বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে আমি বলেছি বিধানসভা নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরকে তার রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি জিনিস পরিকল্পনামফিক হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরের ডিলিমিটেশেন ও ওবিসি সংরক্ষণের জন্য সার্ভে চলেছে। ইতিমধ্যেই ডিলিমিটেশন প্রসেস শেষ হয়েছে। এবার সংরক্ষণ দেওয়া হবে। কারণ জম্মু ও কাশ্মীর বিভিন্ন জাতির কী অবস্থান তা জানতে হবে। লোকসভা নির্বাচনও শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী সেটাও আমরা শেষ করে ফেলব।’
অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ভোটদানের হার খানিকটা বেশি। এনিয়ে অমিত শাহ বলেন, মানুষে চিন্তাভাবনার বদল হচ্ছে। কিছু লোক বলে ভারতের সংবিধানের উপরে আস্থা নেই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের। কিন্তু এই বারের নির্বাচন ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কারণ কাশ্মীরের সংবিধান বলে কিছু নেই। তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। যারা পাকিস্তান যেতে চান বা পৃথক একটি দেশ চান তারাও ঘরে থেকে বেরিয়ে এসে ভোট দিয়েছেন। এটা ভারতীয় সংবিধান ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরাট জয়।