মহারাষ্ট্রের নাসিকের মুণ্ডেগাঁও গ্রামে জিন্দল গোষ্ঠীর একটি প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় বয়লার ফেটে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে আসে বিশাল কারখানা চত্বর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বিশেষ বাহিনী। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই কারখানা থেকে ১ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তি এক মহিলা। তাঁর শরীরের প্রায় সত্তর শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ১৪ জন শ্রমিক আগুনে গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। আহতদের প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। তারপরই কারখানা চত্বর এবং সংলগ্ন এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
দমকল সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অন্তত এগারো জন শ্রমিককে কারখানা থেকে উদ্ধার করা গেলেও, বহু শ্রমিক কারখানার ভিতরে আটকে ছিলেন। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে বয়লার ফেটে আগুন লাগল, তা এখনও অবধি বোঝা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে এর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই কারখানায় ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় কম শ্রমিক কাজ করছিলেন। না হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও। তিনি জানিয়েছেন আহত এবং কারখানার ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশে রয়েছে সরকার। উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্য সরকারের তরফে যাবতীয় সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। উদ্ধারকাজে গতি আনতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি হেলিকপ্টারকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।