৩ দিন নয়। ২৪ ঘণ্টার পরেই খুলে গেল বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। পণ্য়বাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল এখন স্বাভাবিক। ‘কেন্দ্রের চাপের মুখে পিছু হটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনাটি ঠিক কী? পুজোর মুখে রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা! DVC-র ভূমিকায় ফের খড়গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩ দিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আটকে পড়ে ঝাড়খণ্ড থেকে পণ্যবাহী গাড়ি, এমনকী অ্যাম্বুল্য়ান্সও। পাল্টা ঝাড়খণ্ডেই আটকে দেওয়া হয়েছিল বাংলার গাড়ি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছিলেন বহু মানুষ।
আজ, শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক আধিকারিক। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেসব জায়গায় বন্য়ার জল নেমে গিয়েছে, সেইসব জায়গায় সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। এরপর আটটার পর থেকে ফের দুই রাজ্যের গাড়ি চলাচল করতে শুরু করে।
এদিকে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার সিদ্ধান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু। রাতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চাপেই পিছু হটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীমান্তে যে গাড়িগুলি আটকে ছিল, সেগুলিকে এখন বাংলায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে’। সঙ্গে কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন এক পা এগিয়ে, চার পা পিছনোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে’।
এর আগে, শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে গাড়ি আটকালে সব পেঁয়াজ আটকাবে। ওই রাস্তা হচ্ছে নাগপুর, নাসিক, ছত্তিশগড় হয়ে বাংলায় ঢুকছে। আমি অবিলম্বে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে প্যারা মিলিটারি নামিয়ে.. জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে পারেন না’।