আইপিএলে আবার জিতল বেঙ্গালুরু। রবিবার আমদাবাদে তারা হারিয়ে দিল গুজরাত টাইটান্সকে। টানা দু’টি ম্যাচে জিতল তারা। এ দিন শতরান করলেন উইল জ্যাকস। ৭০ রানে অপরাজিত থাকলেন বিরাট কোহলি। আগে ব্যাট করে ২০০/৩ তুলেছিল গুজরাত। জবাবে ২৪ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে জিতে যায় বেঙ্গালুরু। শেষ দিকে দু’জনে যে ভাবে আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেন, তা দেখে মনেই হল রান রেট বাড়ানোর জন্যে খেলছেন।
আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে বেঙ্গালুরু বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এখনই হাল ছাড়তে রাজি নয়। প্লে-অফে উঠতে গেলে বাকি ম্যাচগুলিতেও জিততে হবে তাদের। হায়দরাবাদ এবং গুজরাতের মতো দুই শক্ত প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেই লড়াইয়ে ভাল ভাবেই রয়েছে কোহলির দল।
২০১ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন ফাফ ডুপ্লেসি। দ্বিতীয় ওভার থেকে আসে ১৫ রান। পরের ওভারে আজমাতুল্লাহ ওমরজ়াইকে দু’টি ছয় এবং একটি চার মারেন। তবে বেশি ক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। চতুর্থ ওভারে সাই কিশোর ফিরিয়ে দেন ডুপ্লেসিকে। সেই একটিই উইকেট ফেলতে পারল গুজরাত। তার পরে আমদাবাদে শুধুই কোহলি এবং জ্যাকসের দাপট।
গুজরাতের প্রধান অস্ত্র সাই কিশোরকে অনায়াসে মাঠের বাইরে ফেললেন কোহলি। প্রথম দিকে তাঁর রান তোলার গতি কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। দশম ওভারে রশিদ খানকে চার মেরে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন কোহলি। উল্টো দিকে জ্যাকস বেশ ধরেই খেলছিলেন। তাঁর আসল রূপ দেখা গেল শেষের দিকে। ১৫তম ওভারে তাঁর অর্ধশতরান হল। আর ১৬তম ওভারে খেলাই শেষ হয়ে গেল।
১৫তম ওভারে মোহিত শর্মাকে তিনটি ছয় এবং দু’টি চার মেরে সেই ওভার থেকে ২৯ রান নেন। পরের ওভারে রশিদও দেন ২৯ রান। তাঁকে সেই ওভারে চারটি ছয় এবং একটি চার মারেন জ্যাকস। শেষ বলে ছয় মেরে নিজের শতরান পূরণ করেন তিনি।
আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাতে শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম ওভারেই ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। স্বপ্নিল সিংহের বলে চার মারলেও মাত্র পাঁচ রান করে ফিরে যান গুজরাতের ওপেনার। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সাই সুদর্শনের সঙ্গে জুটি বেঁধে গুজরাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক শুভমন গিল। কিন্তু আইপিএলে খারাপ ফর্ম অব্যাহত গুজরাতের অধিনায়কের। এমনিতেই রান করছিলেন ধীরগতিতে। ১৯ বলে ১৬ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
গুজরাতের খেলা এর পরেই বদলে যায়। এ বারের আইপিএলে এত দিন ভাল ফর্মে ছিলেন না শাহরুখ খান। পঞ্জাব থেকে গুজরাতে যোগ দেওয়ার পর পুরনো ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন না। বেঙ্গালুরু তাঁকে ফর্মে ফেরাল। নবম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে একটি ছয় এবং চার মেরে শুরু। এর পর কর্ণ শর্মা, ক্যামেরন গ্রিন কেউ ছাড় পেলেন না। গ্রিনের একটি ওভারে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারেন শাহরুখ। খারাপ খেলছিলেন না সুদর্শনও। বেঙ্গালুরুর বোলারদের বিরুদ্ধে তিনিও চালিয়ে খেলছিলেন।
শাহরুখকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। ইয়র্কার বল খেলতেই পারেননি শাহরুখ। তিনটি চার এবং পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৫৮ করেন তিনি। তবে শাহরুখ ফিরলেও সুদর্শন থামেননি। আগের মতোই আগ্রাসী খেলতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন আটটি চার এবং চারটি ছয়। ১৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। তবে দিনের শেষে সুদর্শন এবং শাহরুখের ইনিংস কাজে লাগল না।