Jalpaiguri: আবহাওয়া এতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যে, কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলছে এই জায়গা থেকেও!

 পুজো শেষ, অক্টোবর শেষ। নভেম্বর পড়ে গিয়েছে। আকাশ বেশ পরিষ্কার রয়েছে, আবহাওয়া কখনও কখনও উষ্ণ থাকলেও বাতাসে হালকা শীতের ছোঁয়াও লেগেছে। রোদ-ঝলমলে দিন। আর এই রকম আবহাওয়ায় নভেম্বরের মাসের প্রথম দিকেই দৃশ্যমান হল কাঞ্চনজঙ্ঘা। দৃশ্যমান হল জলপাইগুড়ি থেকেই!

তখনও ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়েনি সেভাবে তিস্তাপাড়ের শহর জলপাইগুড়িতে। সবে একটু-একটু করে উঁকি দিচ্ছেন সূর্যদেব। আর তাতেই সোনালি রঙে রাঙিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে দিগন্তে মেলে ধরল পৃথিবীর তৃতীয় তথা ভারতের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা! সে এক আশ্চর্য সুন্দর দৃশ্য। যেন দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!

প্রাতঃভ্রমণকারী থেকে ভোরের অন্যান্য পথচারীদের নজর বেশ কিছু সময় আটকে রইল সেই ঘুমন্ত বুদ্ধের প্রতি। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি ময়নাগুড়িতেও কাঞ্চনজঙ্ঘার এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন অনেকেই।

ভ্রমণের ঋতু আসছে। এসে গিয়েছেও বলা চলে। দলে দলে মানুষ পিঠে ব্যাগ বেঁধে পাহাড়মুখী হচ্ছেন। বাতাসে শীতের আমেজ, রোদ-ঝলমলে দিন। সময়টা তো বেড়ানোর জন্যই আদর্শ। তার উপর ফেস্টিভ সিজনের পরের পর্ব চলছে। স্কুল-কলেজে ছুটি শেষ হয়নি। রাজ্য সরকারের ছুটি সবে শেষ হয়েছে। সামনেই দীপাবলির ছুটি। এমতাবস্থায় সকলের মনই উড়ুউড়ু। আর সেই ছুটি-ছুটি আবহেই শোনা গেল স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার এই খবর। যা সকলকেই খুব আনন্দ দিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.