টাকা জমা দিয়ে আর তা তুলতে পারছেন না আমানতকারীরা। সন্দেহ হওয়ায় খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। আর তাতেই বেরিয়ে এল টাকা জমা দিয়েছেন বটে কিন্তু তা জমা পড়েনি তাদের অ্যাকাউন্টে। এখন পোস্ট মাস্টারকে যে ধরবেন তারও উপায় নেই। সম্প্রতি আত্মঘাতী হয়েছেন সেই অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার। এনিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির রায়গঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি অঞ্চলে।
মান্তাদারি অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থানীয় মেনঘরা গ্রামীণ পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখতেন। আমানতকারীদের অভিযোগ, পোস্ট মাস্টার নুর আমিনকে যখনই তারা টাকা জমা দিতেন তখনই তিনি লিঙ্ক না থাকার অছিলায় তাদের পাসবই নিয়ে রাখতেন। টাকা পাসবইতে এন্ট্রি না করে সাদা কাগজে স্লিপ লিখে দিতেন। এভাবেই তাদের টাকা জমা ও তোলা চলতো।
সম্প্রতি কয়েকজন আমানতকারী জানতে পারেন পোস্টমাস্টার নুর আমিন অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। সন্দেহ হওয়ায় তারা নুর আমিনের কাছে গিয়ে পাসবই ফেরত চান। কেউ যান টাকা তুলতে। এভাবেই চাপ বাড়তে থাকে নুর আমিনের ওপরে। শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হন নুর আমিন।
এখন জমা দেওয়া টাকা কী হবে? সেই চিন্তাতেই মাথায় হাত আমানতকারীদের। তাদের দাবি অন্তত দুশো লোকের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত্ করেছেন নুর আমিন। টাকা ফেরত চাওয়াতেই তিনি আর চাপ নিতে পারেননি।
এদিকে, ওই টাকা ফেরতের দাবিতে আমানতকারীরা জলপাইগুড়ি পোস্ট অফিসের সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। পোস্ট অফিসের আধিকারীক নিলাদ্রী বসাক বলেন, আমরা অভিযোগ পেলাম। সবটাই তদন্তের বিষয়। তদন্ত হবে। তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।