একে একে পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। কেউ মাটিতে লুটিয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে কেউ আবার কাঁদছে। পরিবারের নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে মারধর করছে। এই দৃশ্যটাই গত দশ দিন ধরে চাক্ষুষ করে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ঝার আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খট্টিমারি বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। ২০২৩-এ দাঁড়িয়েও মানুষের সচেতনতার কতটা অভাব থাকলে এমন হতে পারে। পাড়ার লোকজন বলছেন, কবিরাজি চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হয়েছে।
গ্রামের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন কিছু মানুষ কিন্তু এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। গত ১০ দিন ধরে তারা রাতভর জেগে পাহারা দিচ্ছেন যাতে পরিবার এবং এলাকার কোনও মানুষের অপ্রত্যাশিত কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়। কিন্তু এভাবে কত দিন! আজ যদি কোন কিছু হয়ে যায় এই পরিবার এবং এই এলাকার মানুষের তবে এর দায়ভার কে নেবে। এমনই বক্তব্য গ্রামের মানুষের।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। পরিবারের লোকজনের দাবি, চিকিৎসা করার মতো কোনো রূপ আর্থিক বন্দোবস্ত নেই তাদের। তবে কি গ্রাম্য এলাকা বলে কুসংস্কার কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যদিও জলপাইগুড়ি বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে ড: রাজা রাউতের দাবি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ সমস্ত ঘটনার নিত্যদিনের হয়ে গিয়েছে। এসমস্ত কোন কিছুকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে তারা দেখছেন। খুব দ্রুত পরিবারের সঙ্গে মঞ্চের বিশেষ প্রতিনিধি দল এসে দেখা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবেন। ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয় পুলিস। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা খোঁজ খবর নিয়ে গিয়েছেন।