হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের স্তুপ। ২৮টি মৃতদেহ রাখার জায়গায় জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে ১৩০টি মৃতদেহ। স্তুপ হওয়া মৃতদেহের গন্ধে অতিষ্ঠ মর্গের কর্মীরা ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। স্তুপ হওয়া মৃতদেহ যতক্ষণ না পরিষ্কার করা হচ্ছে সেখানে কোনোভাবেই কাজ করা সম্ভব নয় বলে দাবি মর্গের কর্মীদের। পাঁচদিন থেকে মর্গের কাজ বন্ধ।
তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন মর্গটিকে বন্ধ রেখে পুরনো জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মর্গটিকে ফের চালু করেছে। পাশাপাশি স্তুপ হওয়া মৃতদহগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আবেদন করা হয়েছে। এরপরেই শতাধিক মৃতদেহ সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যতদিন এই হাসপাতালের স্তুপ হওয়া মৃতদেহগুলি পরিষ্কার না করা হচ্ছে ততদিন সদর হাসপাতালের পুরনো মর্গেই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার কাজ চলবে। মৃতদেহের গন্ধে অতিষ্ঠ মর্গের পেছনে থাকা রানী অশ্রুমতি টিবি হাসপাতালের রোগীরাও। যার ফলে চরম হয়রানির শিকার হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।প্রশ্ন উঠছে এতদিন ধরে এত মৃতদেহের স্তুপ হলো কি করে? পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষই বা কি করছে? যদিও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মর্গ সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
এক রোগীর আত্মীয় সামসের আলী বলেন, “মর্গে পচন্ড দুর্গন্ধ, এই দুর্গন্ধ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে।” সহকারি মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুরজিত সেন বলেন, “খুব দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে মৃতদেহের। ময়নাতদন্ত ওখানে করা যাচ্ছে না। ওটা পুলিশ মর্গ। পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব বলেন, “আপাতত বন্ধ রয়েছে নতুন মর্গ। পুরোনো মর্গে কাজ চলছে। মৃতদেহ সরিয়ে তারপর নতুন মর্গে আবার ময়না তদন্ত শুরু হবে।”