বিভিন্ন স্কুলের সামনে লাইসেন্স ছাড়া মোমো, চাউমিনের দোকানে অভিযান চালিয়ে সেগুলি বন্ধ করে দিল জলপাইগুড়ি প্রশাসন। বোতলে ভরা বিভিন্ন ধরণের সস, এছাড়া বিভিন্ন খাবারের নমুনা সংগ্রহ করল খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। লাইসেন্স না করা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রসাসনের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন স্কুলের সামনে কি ধরণের খাবার বিক্রি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে অভিযানে নামে জলপাইগুড়ি প্রশাসন। শহরের জেলা স্কুল, ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে তৈরি করা খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। বিভিন্ন ধরণের খাবারের মান খতিয়ে যেমন দেখা হয়, তেমনি সন্দেহজনক প্যাকেট জাতীয় খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে খাদ্য দফতর। মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান হয়। খাদ্য দফতরের আধিকারিক ছাড়াও পুলিশ অফিসাররা অভিযানে ছিলেন। স্কুলের সামনে বিক্রি হওয়া আইসক্রিমের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া মোমো, চাউমিনের দোকানে থাকা বিভিন্ন ধরনের সস, সর্ষের তেল, ঘোল সহ বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
খাদ্য দফতরের দাবি, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারে যে সব সস দেওয়া হচ্ছে সেগুলো দেখেই মনে হচ্ছে ঠিক নয়। এছাড়া বেশিরভাগ মোমো, চাউমিনের দোকানের ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়া যেসব দোকান চলছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “স্কুলের সামনে অসংখ্য খাবারের দোকান চলছে। কি ধরণের খাবার দেওয়া হচ্ছে সেই মান দেখা হচ্ছে। সস, আইসক্রিম সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দোকান থেকে।”
এক ব্যবসায়ী অর্জুন সরকার বলেন, “এসডিও এসেছিলেন। বিভিন্ন নমুনা নিয়ে গেলেন। লাইসেন্স নেই, লাইসেন্স বানাতে বলেছেন।”