উত্তরবঙ্গে লাগাতার ভারী বর্ষণ। ভেঙে পড়ল সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের একাংশ। যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনা। প্রাণে বেঁচে গেলেন গাড়ির চালক-সহ গাড়িতে থাকা পড়ুয়ারা। এমন ঘটনার পরেও প্রশাসনিক কোনও উদ্যোগ না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। রীতিমতো বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মালোপাড়া এলাকায় স্থায়ী ভাবে ধরলা নদীর উপর যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয় একটি পাকা এই সেতু। এবার সেই সেতুর এই অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ। যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে সেই সময় সেখানে একটি গাড়িও ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। কোনও রকমে স্থানীয়দের চেষ্টায় চালক এবং গাড়ির মধ্যে থাকা পড়ুয়াদের উদ্ধার করা গিয়েছে বলে খবর।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর ওপারে প্রায় আড়াইশো পরিবারের বসবাস। যাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই সেতু। এলাকার ছাত্রছাত্রীদের এই সেতু পেরিয়েই যেতে হয় স্কুলে। বর্তমানে গর্ভবতী মহিলারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেন্টারে যাচ্ছেন। এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না করার জন্য স্কুলে যান ঝুঁকি নিয়েই। এক কথায় মহিলা-সহ গ্রামের মানুষদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। বর্ষায় নদীর জলস্রোতের কারণে সেতুতে ওঠার অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে পড়ায় কার্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তাঁরা। দ্রুত এর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন মালোপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এই ব্রিজটি তিন বছর আগে নির্মিত হলেও সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড হয়নি বলে অভিযোগ। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাস্তাটি নির্মিত হয়। আর তার পরেই সেই রাস্তা আচমকা ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু রায় বলেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আপাতত একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হবে। জল একটু কমে গেলে কালভার্টটির সংস্কার করা হবে।
কিন্তু, মাত্র কয়েক বছর হল এই কাজ হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি এভাবে সেতু-সংলগ্ন রোড ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে!