Jalpaiguri: গ্রুপ ডি কর্মী নেই, বেহাল অবস্থা স্কুলের, খুদে পড়ুয়ারাই পরিষ্কার করছে স্কুল

জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নেই। আর তাই গ্রুপ ডি’র পরিবর্তে স্কুলের সাফাইয়ের কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে। সকালে জল, ঝাঁটা দিয়ে স্কুল সাফাইয়ের পর তবে শুরু হচ্ছে স্কুলের পঠনপাঠন। এমনই ছবি দেখা গেল জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের চা বাগান এলাকায় অবস্থিত ডুডুমারি বস্তি হিন্দি জুনিয়র হাইস্কুলে। জানিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই স্কুলে কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। তারওপর শিক্ষকদের সংখ্যাটাও অনেক কম। মাত্র দুজন অতিথি শিক্ষক দিয়েই চলছে এই স্কুল। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে প্রথমে টানা ১১ বছর একাই চালিয়েছিলেন স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক মিনু রাই। এরপর সেখান থেকে তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ওই দুজন অতিথি শিক্ষক স্কুল চালাচ্ছেন। তবে স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় সেখানে পঠনপাঠনও সেরকমভাবে হচ্ছে না বলেই অভিযোগ অভিভাবকদের। যে কারণে স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনিই বেড়েছে স্কুলছুটদের সংখ্যা।

এ বিষয়ে স্কুলের অতিথি শিক্ষক এতোয়া তুরি এবং রামজি ছেত্রী জানান, তাদের দুজনকেই স্কুলের দরজা খোলা থেকে শুরু করে অফিস সামলানো, মিড ডে মিলের হিসেবসহ যাবতীয় কাজ করতে হয়। তারপরে ক্লাসও করতে হয়। তার ওপর গ্রুপ-ডি কর্মী না থাকায় বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার করা হচ্ছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, বর্ষাতে স্কুলের বারান্দাতে গৃহপালিত পশু রেখে দেন এলাকাবাসীরা। সেগুলি পরিষ্কার করে স্কুলের পঠনপাঠন শুরু করতে হয়। এই অবস্থায় তারা চাইছেন স্কুলে একজন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। তাহলে তাদের অফিসের কাজের চাপ কমবে এবং পড়ানোয় মনোযোগ দিতে পারবেন। ফলে পড়ুয়া সংখ্যাও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.