দুয়ারের রেশন প্রকল্পে রেশনের সামগ্রির বদলে টাকা দেওয়ার অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড রাজবাড়ীপাড়া এলাকায় উপভোক্তার হাতে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই ছবি জি ২৪ ঘন্টার ক্যামেরায়।
এদিন রেশন ডিলার দুয়ারে রেশন নিয়ে হাজির রাজবাড়ি পাড়া এলাকায়। আর এখানেই রেশন সামগ্রীর বদলে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছিল উপভোক্তাদের। টাকা দেওয়ার বিষয় অস্বীকার মায়া রাইস নামে রেশন ডিলারের কর্মী রানা রায়ের। তিনি বলেন বাইরে এই সামগ্রী বিক্রি হয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এরসঙ্গে যুক্ত। তবে উপভোক্তাদের টাকা লেনদেনের বিষয় রেশন ডিলার কর্মী স্বীকার করেন।
জেলা শাসক শামা পারভিন বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপারসন পাপিয়া পাল ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রেশন সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কথা ডিলারদের। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক। অন্যদিকে খাদ্য দফতরের জলপাইগুড়ি সদর মহুকুমা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনা ঘটানা ঘটার কথা নয়। সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারকে খোঁজ করে বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হবে।
এই ঘটনায় এক মহিলা উপভোক্তা জানান, রেশন না নিলে ডিলারের তরফ থেকে আমাদের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। অপর এক বাসিন্দা জানান, ফ্রি তে রেশনে সামগ্রী সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষের অনেক উপকার হচ্ছে। বাসিন্দার অভিযোগ বেশ কিছু রেশন ডিলার এবং অসাধু ব্যবসায়ী এই রেশন সামগ্রী কিনে নেয় এবং সেগুলো বাইরে চড়া দামে বিক্রি করে। কোনও কোনও রেশন ডিলার রেশন সামগ্রীর বদলে টাকাও দিয়ে দেয়। এটা মোটেও কাম্য নয়।
এরই পাশাপাশি বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ এর অভিযোগ, ‘গরিব মানুষের রেশন সামগ্রী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং বেশ কিছু রেশন ডিলার অর্থের বিনিময়ে কম দামে কিনে নেয়। প্রায়শই এই অভিযোগ শোনা যায়। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত’।
রাজ্যের প্রতিটা পরিবার যাতে সুষ্ঠু ভাবে রেশন সামগ্রী পায় তার জন্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়া চলছে, প্রতিটি গ্ৰাম থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় । তবে মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে রেশন
দুর্নীতির কথা। সেই দুর্নীতির মাঝেই এবার বৃহস্পতিবার এক নতুন চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবাড়ী পাড়া এলাকায়।
তবে এভাবেই সাইকেল করে ব্যাগ ভর্তি করে রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার দৃশ্যও উঠে এসেছে। প্রশাসনের নজরদারি যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। এখন দেখার কবে এই ধরনের বেআইনি কাজ কর্ম বন্ধ হয়।
তবে টাকা লেনদেনর বিষয়ে রেশন ডিলারের তরফে সাফাই তিনি টোটো ভাড়া দিচ্ছেলেন। তবে যে ব্যক্তিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে আর যে টোটো চালক মাল নিয়ে যাচ্ছে দু-জন আলাদা ব্যক্তি।