খাগড়াগড়ে জালনোট কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। শনিবার অভিযুক্তকে ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে এসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত গোপাল সিংকে নিয়ে আসা হয় ওই বাড়িতে। ওই বাড়িতেই জাল নোট ও ডলার ছাপানো হত বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি ব্যাগ, তিনটি অ্যাটাচি, টাকা ও ডলার ছাপানোর কিছু ডাইস বাজেয়াপ্ত করেছে। ইতিমধ্যে জালনোটকাণ্ডে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মুসলিম পরিচয় দিয়ে ভাড়া নিয়েছিল অভিযুক্তরা। তারপর এখানে শুরু হয়েছিল রমরমা অবৈধ কারবার। ধৃতের এক আত্মীয়া বলেন, বাড়িতে যে ব্যাগ রয়েছে সেটা আমাদের নয়। অন্যরা ব্যাগ রেখেছিল। মুসলিম পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। অন্য পরিচয় দিয়ে ভাড়া পেতাম না। অন্য একজন বলেছিল মুসলিম পরিচয় না দিলে ভাড়া পাওয়া যাবে না। কোনও জালনোট ছাপানো হত না এখানে।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় পাল জানিয়েছেন, আমরা জানতাম না এখানে জাল নোটের কারবার চলত। তার কাছে ডলার তৈরির মেশিনও পাওয়া গিয়েছে। এদিন পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে এসেছিল। আমরা ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। আমরা জানতাম খুব ভালো মানুষ। মাঝেমধ্যে বাইরের লোক আসত।স্থানীয় এক মহিলা জেসিমা বেগম বলেন, আমরা জানতাম না এরকম কারবার চলে। পাশেই বাড়ি আমাদের। সারা রাত দুজন মহিলা চিৎকার করত। মনে হয় চিৎকারের সুযোগে এসব কাজ করত। বাচ্চারা পেয়ারা পারতে ঢুকলেও ওরা মার দিত।বাইক নিয়ে লোকজন আসত।