বৃহস্পতিবার বিকালেই অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছিলেন যে, শুক্রবার থেকেই সিসিটিভি বসবে। অবশেষে শুক্রবার বিকালে সিসিটিভি লাগানোর ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি। ফলে শুরু হয়নি সিসিটিভি লাগানোর কাজ। অবশেষে বিকালে ওয়ার্ক অর্ডার ইস্য়ু করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ক অর্ডারে সই করেছেন রেজিস্ট্রার। আজ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে। একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সিসিটিভি বসানো হবে বলে খবর। সিসিটিভি লাগানোর জন্য সরকারের কাছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ ১০টি সিসিটিভি লাগাতে খরচ হবে এই পরিমাণ টাকা।
ওদিকে র্যাগিং রুখতে রাজ্যপালের দাওয়াই এবার ইসরোর প্রযুক্তি। র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। গতকালই ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতের র্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। হায়দরাবাদের অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে।
এর পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্যকে আজ নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিস। গতকাল সেনা বাহিনীর পোশাকে কাদের দেখা গিয়েছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যে সংস্থার লোকেরা এসেছিলেন, তার হেডকেও আজকেই অভিযুক্ত হিসেবে তলব করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। এছাড়া ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও আজ ফের তলব করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। একইসঙ্গে এদিন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা আরও ৬ জনকে তলব করেছে পুলিস। ৬ জনই হস্টেলের আবাসিক।
প্রসঙ্গত, গতকাল সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য বলে নিজেদেরকে দাবি করেন তাঁরা। পুলিস সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার পুলিসের তরফে বলা হয় সেনার পোশাক পরে ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। যখন তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা জানায় যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অর্গানাইজেশনের সদস্য তারা। কিন্তু কেন তারা সেনার পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল? তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।