চাকরির বাজারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়জয়কার। বিদেশ থেকে চাকরির অফার পেলেন ন’জন পড়ুয়া। লন্ডনে গুগলে ১ কোটি ৪০ টাকার চাকরি পেয়েছেন নদিয়া প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র দেবর্ষি মৈত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সেই সাফল্য স্বভাবতই খুশি হয়েছেন যাদবপুরের আধিকারিকরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এবার ক্যাম্পাসিংয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা ন’জনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। সেই তালিকায় আছে অ্যামাজন, গুগলের মতো সংস্থা। সত্যম কুমারকে বার্ষিক এক কোটি ১০ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ অফার করেছে অ্যামাজন। ডাবলিনে কাজের জন্য প্রস্তাব পেয়েছেন সত্যম। এছাড়াও এডিনবরা, মাদ্রিদ এবং বার্লিনের মতো জায়গা থেকেও যাদবপুরে পড়ুয়ারা চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
এবারের ক্যাম্পাসিংয়ে সবথেকে বেশি মূল্যের চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন নদিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা দেবর্ষি। আগামী সেপ্টেম্বরে গুগলের চাকরিতে যোগ দিতে লন্ডনে যাবেন প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ছাত্র। যিনি যাদবপুরের ‘হোক ইউনিয়ন’ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। তারইমধ্যে এবার অ্যামাজন থেকে ১.১ কোটি টাকার চাকরির অফার পেয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত গুগলকে বেছে নিয়েছেন দেবর্ষি। অ্যামাজন থেকেই চাকরির সুযোগ পেয়েছেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র চিরদীপ দে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ভারতীয় অফিস থেকে চাকরির প্রস্তাবও পেয়েছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। অ্যাপল ইন্ডিয়ার থেকে বার্ষিক প্রায় ৬৪ লাখ টাকার প্যাকেজের চাকরির প্রস্তাব এসেছে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র অরিত্র সামন্তের কাছে। ভারতে চাকরির ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি টাকার অফার পেয়েছেন লক্ষ্য বেগনানি। তাঁর বার্ষিক বেতন হবে ৬৫ লাখ টাকা। আগামী মাসে হায়দরাবাদে কাজে যোগ দেবেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র।
বিদেশ থেকে যাদবপুরের কোন কোন পড়ুয়া চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন?
১) প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার: দেবর্ষ মৈত্র এবং কুশ মিশ্র।
২) ইনফরমেশন টেকনোলজি: ঋত্বিক রাজ এবং রূপায়ন ঘোষ।
৩) কম্পিউটার সায়েন্স: সত্যম কুমার এবং শুভম কুমার।
৪) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন: চিরদীপ দে, সৈকত চক্রবর্তী এবং সাত্যকি দাস।