আকস্মিক মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য স্যমন্তক দাসের। প্রিয় অধ্যাপকের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে সহকর্মীরা। উত্তর পূর্ব ভারত থেকে পড়তে আসা পড়ুয়াদের কাছে তিনি ছিলেন অন্যতম ভরসার জায়গা। প্রান্তিক জেলা থেকে পড়তে আসা পড়ুয়াদের এগিয়ে চলার ভরসা যোগাতেন যে মানুষটা তিনিই আর নেই। তাঁর আকষ্মিক মৃত্যু মানতে পারছেন না অনেকেই। তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাণীকুঠি এলাকায় নিজের বাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে খবর। তাঁর এইভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না অনেকেই। তীব্র শূন্যতা যেন গ্রাস করেছে ক্যাম্পাসকে। শুধু অধ্যাপক নয়, প্রিয় এক বন্ধুকে হারালেন অনেকেই।
তাঁর মৃত্যুতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পিএইচডির ইন্টারভিউও বন্ধ করা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হবে। তাঁর প্রয়াণে বৃহস্পতিবার ছুটি দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, অধ্যাপক আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। উনি ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। একাধিক সহকর্মীর চোখে জল। এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্নেহশীলতা, রসবোধ তাঁকে সকলের কাছে প্রিয় মানুষ করে তুলেছিল। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত সহজভাবে মিশতেন তিনি। বহু ছাত্রছাত্রীকে আগামীতে পথ চলার দিশা দেখিয়েছেন। কলা বিভাগের তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের দায়িত্ব পান।