বসানোর কথা থাকলেও আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসছে না সিসিটিভি। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে আজ সিসিটিভি লাগানো যাচ্ছে না। জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। মূলত কন্ট্রোল রুম কোথায় হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ৫ নম্বর গেটের সামনে কন্ট্রোল রুম তৈরি হবে। ওদিকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যে কমিটি তদন্ত করছিল, তাদের রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। কর্তৃপক্ষ সেটা খতিয়ে দেখবে। তারপরে ঠিক করবে যে, আরও তদন্তের প্রয়োজন আছে কিনা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ৩ তলা থেকে নীচে পড়ে যায় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। পরের দিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়া। এই ঘটনায় Ragging-এর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে ওই পড়ুয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটি তাদের রিপোর্টে যাঁরা দোষী, তাঁদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। কমিটির মতে, ‘ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে র্যাগিংয়ের যোগ রয়েছে’। যদিও এই তদন্ত কমিটির সদস্য়দের কীভাবে নির্বাচন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি।
পড়ুয়া মৃত্যুতে র্যাগিংয়ের অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিসিটিভি বসানোর দাবি ওঠে। দু’ ধরনের সিসিটিভি বসানোর কথা চূড়ান্ত হয়। একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই লাগানো হবে সেই সিসিটিভি। এদিন সিসিটিভি লাগাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেও যায় সিসিটিভি বসানোর টিম। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক, তারপর ক্যামেরা বসানোর সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনের কথা ছিল তাদের। ক্যাম্পাস চত্বর এবং মেন হস্টেল মিলিয়ে মোট ২৯টি ক্যামেরা বসানোর কথা রয়েছে। কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, তা আগেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে চূড়ান্ত হয়নি কন্ট্রোল রুমের জায়গা। যার ফলে আজ যাদবপুর ক্যাম্পাসে বসছে না সিসিটিভি।