যাদবপুরকাণ্ডে ক্রমশ জোরালো হল র্যাগিংয়ের তত্ত্ব। এ বার বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করলেন ধৃত দীপশেখর দত্তের আইনজীবী। তাঁর দাবি, সৌরভের হাতে তাঁর মক্কেল নিজেই হেনস্থা হয়েছেন। তাঁকে র্যাগিং করা হত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হন সৌরভ। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ছাত্রের বাবার অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তনীর নেতৃত্বে হস্টেলে ঢোকা নতুন ছাত্রদের র্যাগিং করা হত। অন্য দিকে, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন বাঁকুড়ার বাসিন্দা দীপশেখর দত্ত। তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়ের দাবি করেন, খোদ দীপশেখরকেই র্যাগিং করতেন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ দাবি করছে, যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের মধ্যে দীপশেখর অন্যতম। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তা বলছে, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে যাদবপুরের প্রাক্তনীরা আছেন। যাঁরা সিনিয়র তাঁরা এই কাজ (র্যাগিং) করতে পারেন। দীপশেখর নিজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। যিনি মাত্র এক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাঁর পক্ষে এ কাজ করা অসম্ভব। আশা রাখছি, যাঁরা প্রকৃত এই কাজ করেছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসুক।’’
দীপশেখরের আইনজীবী দাবি করেন তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবং তাতে পুলিশের হাত আছে। ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘পুলিশ আসলে বুঝতে পারছে না। তাই যাকে পারছে গ্রেফতার করে কেস ক্লোজ় করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘সৌরভকে সিনিয়র এবং দাদা হিসাবে চিনতেন দীপশেখররা। এ ছাড়া ওঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এক বছর আগে আমার মক্কেলও (দীপশেখর) একই ভাবে র্যাগিং হয়েছেন। দীপশেখর নিজেও ভিকটিম।’’
উল্লেখ্য, সৌরভের মতো ধৃত দুই ছাত্র দীপশেখর এবং মনোতোষ ঘোষকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালতে। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।