এটা ২০১৮ নয়, এটা ২০২৩ -এর বিজেপি। কেউ যদি ভোট লুট করতে আসে তাকে আর হেঁটে ফিরে যেতে হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই এভাবেই জনসভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা রাজ্য জুড়ে এক হাজারটি জনসভার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বঙ্গ বিজেপি। তারই অংশ হিসেবে হাওড়ায় একাধিক জায়গায় সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিকেলে সাঁকরাইল বিধানসভার মাসিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা ২০২৩ এর বিজেপি। ভোট লুট করতে এলে তাদের আর হেঁটে বাড়ি যাওয়ার হাল থাকবে না। একই সঙ্গে তিনি নিরপেক্ষ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিয়ে ভোট করানোর দাবিও জানান। তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তৃণমূল সরকারের হাতের পুতুল বলে কটাক্ষ করেন।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৮জুলাই এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ১১ই জুলাই। মাত্র একমাস সময় মাঝে। এর মধ্যে শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র জমা শেষ হবে ১৫ জুন।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। তবে চাই শান্তিপূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে কখনই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ভোটে সিভিক পুলিশ, হোমগার্ড, ভিলেজ পুলিশ বা গ্রাম পুলিশদের মাঠে নামানো হবে। আপনারা সবাই জানেন এরা বেশির ভাগই তৃণমূলের ক্যাডার। তাই নিরপেক্ষ ভোট করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাহায্য প্রয়োজন। তার কথায় সেটা যদি না হয় আর এরফলে যদি রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার।