ভোরের আলো তত ক্ষণে ফুটে গিয়েছে। আকাশবাণীতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কণ্ঠ আস্তে আস্তে ‘ফেড ইন’। আবলুসি চৌখুপ্পির ভিতর থেকে নীলচে আভা ছড়িয়ে পড়ল আলমারির মাথায় রাখা সাদা-কালো টিভির পর্দা থেকে। জলের শব্দ। নদী। বহমানতা। তার মধ্যেই দেবীকে, দেবীধ্বনিকে আহ্বান। রেডিয়োর চিরায়ত ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ থেকে দূরে তার অবস্থান। বাণীকুমার-পঙ্কজ মল্লিক-বীরেন্দ্রকৃষ্ণের সাবেকিয়ানা তার নেই। কিন্তু সে-ও তো দেবীরই আবাহন! নয় নয় করে চার দশক পার করতে চলল সে-ও। কলকাতা দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠান। ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’-র মতো পাকাপোক্ত তকমা তার গায়ে পড়েনি। প্রতি বছর তার নাম বদলায়, বদলায় স্ক্রিপ্ট, বদলে যান মা দুগ্গাও। কমবেশি চল্লিশ বছর বাঙালিকে মহালয়ার সকালে দূরদর্শন নিবেদন করে আসছে তাদের নিজস্ব ‘মিউজ়িক্যাল’। তার ‘থিম’ সেই মহিষাসুর বধ পালা। কিন্তু, ফি বছর তাতে এসে বসে নতুন পালক। দেবীপুরাণের গহীন থেকে তুলে আনা গল্পের প্রশাখা বদলে যায়। বদলায় কুশীলব। বদলে যান দেবীর ভূমিকায় অবতীর্ণা অভিনেত্রীও। বেলা বাড়লে শরতের রোদ একটু চড়া হলেই পাড়ার চায়ের দোকানে ছুটির দিনের মৌতাতে আলোচ্য— এ বারের দুর্গা কেমন? গত বারকে কি ছাপিয়ে গেলেন? না কি ‘নতুন রকম’ ঠিক পছন্দ হল না! হেঁশেলে একটু ‘বিশেষ’ রান্নার জোগাড় করতে করতে দুই জায়ের মধ্যে সেই একই তক্কো— “এ বারের দুগ্গার চোখগুলো দেখছিস, ছোট? পারবি অমন করে তাকাতে?” উত্তর আসে, “যা-ই বলো দিদি, গেল বারের নাচটা আরও জমেছিল…।”
এ কাহিনি অন্য এক মহালয়ার। সেই ভোরবেলা গঙ্গাস্নান করে বীরেনবাবুর সঙ্গ ধরে লাইভ রেকর্ডিংয়ের স্মৃতিমেদুরতা এতে নেই। কিন্তু, এর মধ্যে রয়েছে একেবারে অন্য রোমাঞ্চ। শ্রাব্য থেকে দৃশ্যমান হয়ে ওঠার রোমাঞ্চ, দ্রুত বদলাতে থাকা প্রযুক্তির সঙ্গে কদম ফেলার রোমাঞ্চ। ১৯৭৫ সালে শুরু হয় কলকাতা দূরদর্শনের সম্প্রচার। ১৯৮৫ সালে কর্তৃপক্ষ স্থির করেন, মহালয়ার ভোরে বিশেষ অনুষ্ঠান করা হবে। অগস্টের শেষ থেকেই শুরু হয়ে গেল প্রযোজনার কাজ। অনুষ্ঠানের প্রযোজনার দায়িত্ব দেওয়া হল জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় আর মালতী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তাঁরাই প্রযোজক ছিলেন মহালয়ার এই বিশেষ অনুষ্ঠানের। এই সময়ের মধ্যে কিন্তু বদল হয়েছে চিত্রনাট্যের, বদলে গিয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। আকাশবাণীর ‘চিরায়ত’-র সমান্তরালে এই বদলাতে থাকা চালচিত্রটিই কখন যে বাঙালির সংসারের শারদপ্রাতের আরও এক রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াল, টেরই পাওয়া গেল না।
বদল ছিল দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় ইউএসপি। কখনও দুর্গার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ভরতনাট্যম শিল্পী যামিনী কৃষ্ণমূর্তিকে, কখনও আবার হেমা মালিনীর মতো খ্যাতজনকে। দূরদর্শনের দুর্গার তালিকায় রয়েছেন বর্ণালী দত্ত, অমিতা দত্ত, সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী হালদার, অপরাজিতা আঢ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ের মহুল মুখোপাধ্যায়। দেবীমুখের বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে পরিবেশোনার ছাঁদও। কেউ নৃত্যপরা, কেউ বা অভিনয়দক্ষ, কারও মুখের রেখায় চোখের ভাষায় ঠিকরে পড়েছে সর্ব্বভূতেষুর আভা, কেউ আবার রম্যকপর্দিনী শৈলসুতা হয়ে বেতসভঙ্গে ত্রিশূল ধরেছেন। বৈচিত্রের ব্যাপারে কোনও আপস ছিল না ‘মহালয়া টিম’-এর। প্রযোজক বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেত স্ক্রিপ্ট, পরিবেশনার আঙ্গিক। জগন্নাথ-মালতীর পরে এই অনুষ্ঠানের প্রযোজক হিসাবে কাজ করেছেন ইন্দ্রাণী রায়, শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্ত, কল্যাণ ঘোষ, প্রদ্যোৎ সমাদ্দার, বিভাস পাল প্রমুখ। উল্লেখ্য, কল্যাণ ঘোষের সময় স্ক্রিপ্ট লিখতেন অধ্যাপক হীরেন চট্টোপাধ্যায়, স্তোত্রপাঠে অজয় ভট্টাচার্য, গ্রন্থণা বা ভাষ্যে অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৮৫ থেকে ২০২৪, প্রতি বছরই যে অনুষ্ঠান নতুন করে রেকর্ড হয়েছে, তা নয়। কোনওটি পুনঃসম্প্রচার হয়েছে, কখনও বা দুই বা তিনটি অনুষ্ঠানকে মিলিয়ে-মিশিয়ে নবকলেবর দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গ তোলায় একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন অজয় ভট্টাচার্য। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্মশতবর্ষে যে অনুষ্ঠান হয়েছিল, তাতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কণ্ঠ ব্যবহৃত হয়েছিল স্তোত্রপাঠে। আবার তিনিও ছিলেন অন্যান্য বছরের মতো। দুই প্রজন্মের উচ্চারণ মিশে এক অন্য অভিজ্ঞতায় শ্রোতাদের সিক্ত করেছিল সে বারের অনুষ্ঠান, জানালেন অজয়বাবু। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। সে সময় হীরেনবাবু স্ক্রিপ্ট লিখতেন। প্রথম বছর চিত্রনাট্যে কিছু সংযোজনের কাজ করেন অজয়বাবু। হীরেনবাবুর পর তাঁকেই অবশ্য কলম ধরতে হয়। শুধু কলম ধরা নয়, এই অনুষ্ঠানের বহু কাজের সঙ্গেই ক্রমে জড়িয়ে পড়েন অজয়বাবু।
মাথার উপরে রয়েছে রেডিয়ো-ত্রয়ীর ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। কিন্তু, বীরেন্দ্রকৃষ্ণের ছায়া থেকে সরে এসেই করতে হবে স্তোত্রপাঠ। ঠাকুরদা দুর্গামোহন ভট্টাচার্য খ্যাতনামা ভারততত্ত্ববিদ। দাদামশায় করুণাময় সরস্বতী ডাকসাইটে সংস্কৃতজ্ঞ। “স্তোত্রপাঠের ব্যাপারটা খানিক ডিএনএর মধ্যেই ছিল বোধ হয়। ফলে তা নিয়ে খুব একটা ভাবতে হয়নি”, বললেন ৭৯ বছর বয়সি অজয় ভট্টাচার্য। তবে শুধু স্ক্রিপ্ট রচয়িতা বা স্তোত্রপাঠের বাইরেও জড়াতে হয়েছে তাঁকে। ২০২২ সালের অনুষ্ঠানে তো পরচুলা আর দাড়ি পরে তাঁকেই নামতে হয়েছিল মেধস মুনির ভূমিকায়। আর তা ছাড়া দেবীর নৃত্যের সময় স্তোত্রের সঙ্গে পারফরম্যান্স সাযুজ্যপূর্ণ হচ্ছে কি না, দেখার জন্য মহড়ায় উপস্থিত থাকতে হয়েছে প্রায় প্রতি বছরই।
ও দিকে, প্রডাকশনের ঝক্কিও কম ছিল না আদিপর্বের দূরদার্শনিক পরিসরে, সে কথা জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দূরদর্শন কর্মী। আজকের কম্পিউটার গ্রাফিক্স আর কৃত্রিম মেধার সুবিধা সে সময় কল্পনার বাইরে। সম্পাদনার কাজ হত ‘লিনয়ার এডিটিং’ পদ্ধতিতে। সে এক জটিল ঝকমারি। কোথাও কোনও ভুলচুক হয়ে গেলে ফিতে মুছে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হত। অভিনয় হত ‘ক্রোমা কিইং’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ, একটা সবুজ বা নীল চাদরের সামনে কুশীলবরা অভিনয় করতেন, মেঝের রংও হত সবুজ বা নীল। পরে সম্পাদকেরা তাতে যোগ করতেন আকাশ, মেঘ, অরণ্য, পর্বত, সমুদ্র। ১৯৮৭ সালে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ ধারাবাহিকে যে স্পেশ্যাল এফেক্ট দেখা গিয়েছিল, তার আগে থেকেই কলকাতা দূরদর্শন সেই ধাঁচের এফেক্টে হাত মকশো করে ফেলেছে শুধু মহালয়ার অনুষ্ঠান করতে গিয়েই। মেঘের মধ্যে যুদ্ধ, কাটা মুন্ডুর উড়ে যাওয়া— সবই দুরস্ত হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করতে করতে। স্বর্গের দৃশ্যায়নে ধোঁয়ার ব্যবহার ছিল এক্কেবারে কৌলিক। সেই ধোঁয়া তৈরি করতে ব্যবহার করা হত ‘ড্রাই আইস’। আজ তো সে সব দৃশ্য তোলা জলভাত। কিন্তু সেই সময়ে এ সব দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন কলাকুশলীরা। দিনে ১০-১২ ঘণ্টাও কাজ করেছেন নাওয়া-খাওয়া ভুলে। আসলে, সকলেই কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতেন মহালয়ার ব্যাপারে। অসুর সাধুর বেশ ধরে ছলনা করছে, আবার পলক ফেলার আগেই সে গালপাট্টা আর শিং সমেত অসুর হয়ে যাচ্ছে— এমন দৃশ্যকে রচনা করতে বসে সৃষ্টির উন্মাদনায় সময় বয়ে যেত। প্রকৌশলী আর প্রযুক্তিবিদদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার কথা অস্বীকার করার কোনও উপায়ই নেই।
দুর্গার দশ হাত নিয়েই তো বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল গোটা দলকে। ১৯৯৫ থেকেই দশভুজা দুর্গার আগমন। পোশাক সরবরাহকারীদের বলা হল কাঠের আটটি হাত বানিয়ে আনতে। সেই কাঠের হাত নিয়ে অভিনেত্রীকে ৪-৫ দিন রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। একটা কাঠের কাঠামোর গায়েই আটটি হাত। সেই কাঠামো পিঠে বেঁধেই সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরতনাট্যমের কঠিন মুদ্রা অনুশীলন করতে হয়েছিল। অসুরের সঙ্গে দেবীর যুদ্ধ জমাতে ঠিক কতখানি কাঠ আর কত আঁটি খড় পোড়াতে হয়েছিল, তা আজকের ডিজিটাল যুগে বসে ভাবা শক্ত।
দূরদর্শনে জাতীয় কার্যক্রম চালু হওয়ার পর অনুষ্ঠানের সর্বভারতীয় সম্প্রচার শুরু হয়। যোগ করা হয় ইংরেজি সাবটাইটেল। একযোগে অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য জাতীয় কার্যক্রম আর কলকাতার স্টুডিয়োর ঘড়ি মিলিয়ে দমচাপা প্রতীক্ষা। কাউন্টডাউন শূন্যে পৌঁছলেই অনুষ্ঠান ‘অন এয়ার’। বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে ব্যাকআপ টেপ রাখা হত। কলকাতায় তৈরি অনুষ্ঠানের টেপ দিল্লি পৌঁছত বিমানযোগে। সেই সময় মহালয়ার অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বারের রোমহর্ষক এক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি। সে বার কোনও কারণে দিল্লিতে যথাসময়ে টেপ পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। শেষমেশ যখন তা পৌঁছনোর মতো অবস্থায় এল, দেখা গেল হাতে সময় প্রায় নেই। গল্ফ গ্রিন থেকে দমদম বিমানবন্দরে টেপ পৌঁছনোর দায়িত্ব বর্তাল অরুময়ের উপর। ঘণ্টাখানেক বাদেই দিল্লির ফ্লাইট। গল্ফ গ্রিন থেকে দমদমের পথে ঊর্ধ্বশ্বাস ছোটানো হল গাড়ি। চালকের কাছে থাকা ড্যাশবোর্ড মোছার লাল শালুটিকে দু’টুকরো করে একটি অরুময় এবং অন্যটি চালক জানলার বাইরে হাত বার করে ওড়াতে ওড়াতে জ্যাম-সিগন্যাল-বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে পাড়ি দিলেন বিমানবন্দরের উদ্দেশে। এ যেন সাম্প্রতিক সময়ে দূর শহর থেকে প্রতিস্থাপনের জন্য হৃদ্পিণ্ড পৌঁছনোর থ্রিলার দৌড়! ‘গ্রিন করিডর’ শব্দবন্ধটি তখন অজানা। প্রায় সেই রকম তৎপরতায় গাড়ি গিয়ে বিমানে পৌঁছে দিয়েছিল টেপ। সে দিনের সেই রোমাঞ্চের কথা আজও ভুলতে পারেননি অরুময়। উপগ্রহে ছেয়ে থাকা মহাকাশ-সম্প্রচারের যুগে এ কাহিনি যে নিখাদ রোমাঞ্চের, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
তার পর এক দিন দূরদর্শন তার একাধিপত্য হারাল।অগণিত বাংলা চ্যানেল মাথা তুলল।প্রায় প্রতিটি চ্যানেলই শুরু করল তাদের নিজস্ব মহালয়ার অনুষ্ঠান।কলকাতা দূরদর্শনের সেই প্রযোজনাও পা ফেলল ডিজিটাল আবর্তে।পুরনো প্রযুক্তি আর দমবন্ধ করা উত্তেজনাময় পরিশ্রমের দিন উধাও।মাউস ক্লিক আর কি-বোর্ডের উপর আঙুল সঞ্চালনেই তৈরি হতে লাগল স্বর্গমায়া, দেবীর দশপ্রহরণধারী হাত, অসুরের ছিন্ন মুণ্ডের উড়ে যাওয়া…।কিন্তু, নটেগাছটি কি মুড়োল? স্ত্রোত্রপাঠক অজয়বাবু ডুব দিলেন স্মৃতি-সরোবরে।বাংলার বাইরেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মহালয়ার অনুষ্ঠান।অবাঙালি পুরাণজ্ঞেরাও তাঁকে এক সময়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন, স্বয়ং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ তাঁকে আলিঙ্গন করেছিলেন স্ত্রোত্রপাঠ শুনে।সে সব তো মণিকোঠায় হিরেমুক্তো হয়ে রয়েছে।আজও দূরদর্শন প্রস্তুতি নেয় মহালয়ার বিশেষ সম্প্রচারের।চ্যানেলে চ্যানেলে ছয়লাপ সীমানাহীন অপার বাংলায় সম্প্রচারিত হয় সে অনুষ্ঠান।প্রতি বছর হয়তো নতুন প্রযোজনা সম্ভব হয়ে ওঠে না।তবু মানবী অবয়বে দেবী আজও প্রহরণ ধরেন।সেই কবেকার কাহিনি আজও ফিরে ফিরে আসে দেবীপক্ষের সকালে।আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’র সম্প্রচার শেষ হলেই চেনা আলোয় ভরে যায় টিভির ঘর।ফুটে ওঠে পুরাণ-বর্ণিত সেই চিরনতুন কাহিনি।তত ক্ষণে হয়তো জলধারায় অঞ্জলি ভরে তর্পণ শুরু হয়ে গিয়েছে।ছোট পর্দায় ক্রমশ ফুটে উঠছেন দেবী। ‘ত্বং স্বাহা… ত্বং স্বধা…’ অনন্ত উচ্চারণে শুরু হচ্ছে আবাহন।ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বময় আশ্বিনে।