একেরপর এক তৃণমূল নেতাদের বেসুরো মন্তব্য ইদানিং মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে। কখনো অর্জুন সিং, কখনো মদন মিত্রকে নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল আসলে নিজের দলের নেতাদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন খেলা তিনি শেষ করবেন। এর পাল্টা দিয়ে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল মদন, ফিরহাদদের সঙ্গে আগে খেলুক। তাদের সঙ্গেই খেলতে পারছে না, পরে বিজেপির সাথে খেলবে।
শুক্রবার অভিষেকের কনভয়ের উপরে হামলার ঘটনায় তিনি বিজেপিকে নিশানা করেছেন। নাম না করে পদ্ম শিবিরের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেছেন, “খেলা আমি শেষ করব”। এ কথা শুনে সুকান্ত বলেন, “বিজেপির সঙ্গে খেলতে গেলে অনেক দম থাকতে হয়। নিজের পার্টিতেই মদন ফিরহাদদের সঙ্গে আগে খেলুক। তাদের সঙ্গে খেলতে পারছেন না। পরে বিজেপির সঙ্গে খেলবেন।”
কয়েকদিন আগে এসএসকেএম- এ রোগী ভর্তি করাতে না পেরে হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মদন মিত্র। অন্যদিকে পার্কিং ফি নিয়ে কলকাতা পুর নিগমের মেয়র তথা তৃণমূলের পুরনো নেতা ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দলের তীব্র মতো বিরোধের ছবি সামনে এসেছিল।
নিজের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে অভিষেকের দাবি, কুড়মি আন্দোলনের নামে বিজেপি এই কাজ করেছে। যদিও তার কনভয়ের পেছনেই থাকা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ির উপরেও হামলা হয়। সেখানে বীরবাহ কিন্তু জানিয়েছেন, কুড়মিরাই এই হামলা করেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “তারা নিজেরাই আগে ঠিক করে নিন কে হামলা করেছে? দায়টা কার ঘাড়ে দেবে? এদের স্বভাব নিজেরা করে লোকের ঘাড়ে দায় চাপানো।”
সুকান্তর দাবি, তৃণমূল কুড়মি সম্প্রদায় ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বাধাতে চাইছে। হামলাকারী কুড়মি আন্দোলনকারীদের মুখে জয় শ্রীরাম স্লোগান শোনা গেছে বলে অভিষেকের অভিযোগের পাল্টায় সুকান্ত বলেন, অভিষেক সব জায়গায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পান। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, হামলা হয়েছে না হামলা করানো হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, “বিজেপি এখানে হামলা করেনি। মরা লোককে মারার কী আছে?”