কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৮ জায়গায় তাল্লাশি চালাল আয়কর দফতর। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হেসেনের পর এবার আইটির নজরে কলকাতায় তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববির হোটেল। টানা দেড় দিন ধরে ওই তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড়ের একটি বহুতলে রয়েছে আমিরুদ্দিন ববির হোটেল। সেখানেই গতকাল সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের কাছে খবর ছিল আয় বহির্ভূত বহু সম্পত্তি রয়েছে ববির। বৃহস্পতিবার সন্ধেতেও দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তল্লাশি চলছে ববির হোটেলে।
সূত্রে খবর তল্লাশিতে বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে কিছু টাকাও। তবে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই হোটেলের মালিক শুধুই ববি নাকি আরও অনেকে রয়েছেন। ওই বহুতল কীভাবে তিনি বানালেন?
উল্লেখ্য, গতকাল রাতে জাকির হেসেনের তেলকল, চালকল, বিড়ির গোডাউন, অফিস, বাড়িতে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকে পাওয়া যায় ৯ কোটি টাকা। ওইসব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদের আরও ৭-৮টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
এদিকে, আয়কর দফতর সূত্রে আরও খবর, ওই ২৮ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৫ কোটি টাকাই শুধু নয়, উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু গহনা। ওইসব গহনার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বহু জমির দলিল। প্রশ্ন উঠছে জাকির হোসেনের কাছে ওই বিপুল টাকা আসল কীভাবে? জানা যাচ্ছে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে যখন ওই টাকার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তখন তার ব্যাখ্যা জাকির হোসেন দিতে পারেননি।
ওই অভিযান নিয়ে কী বলছেন জাকির হোসেন? আমি ব্যবসা করি। ইনকাম ট্যাক্স আসতেই পারে। কিন্তু তার পদ্ধতিটা আলাদা হওয়া উচিত ছিল। সিআইএসএফকে কেন আনবে? আমি তো কোনও ক্রিমিন্য়াল নই। আমি ব্যবসা করি। রাজ্যের বিধায়কও। ব্যবসা করি, সবসময় আমাদের অ্য়াকাউন্টটেন্ডেন্ট থাকা না। সবকিছু ঠিক থাকেও না। গত ২৩ বছর ধরে আমি এখানে এক নম্বর ট্যাক্স প্রদানকারী। এরকম হেনস্থা আশা করিনি।