ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা কংগ্রেসের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে! হরিয়ানার ভোটে অনিয়ম হয়নি: নির্বাচন কমিশন

হরিয়ানার সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের তোলা কারচুপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, মঙ্গলবার কমিশনের তরফে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ তোলার জন্য রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের দলকে সতর্কও করা হয়েছে। কমিশন বলেছে, ‘‘এ ধরনের অমূলক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আমজনতার মধ্যে অস্থিরতা এবং অবাঞ্ছিত অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। যার পরিণামে সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হতে পারে।’’

গত ৮ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটে গণনায় হারের পরেই সাতটি আসনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। পরে আরও ছ’টি আসনে কারচুপি হয়েছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। গণনার সময় অনেক ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি লেভেল ৯৯ শতাংশ দেখাচ্ছিল বলে কংগ্রেস নেতা বীরেন্দ্র সিংহ দাবি করেছিলেন। বেশ কয়েক জন নির্বাচনী এজেন্টকে ফর্ম ১৭সি-র অনুলিপি আনতে দেওয়া হয়নি, এমনকি, গণনা এজেন্টদের প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

ঘটনাচক্রে যে ১৩টি আসন নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ তার মধ্যে ১২টিতেই জিতেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগে কর্ণপাত করতে রাজি হয়নি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের দফতর। প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নির্বাচন কমিশন সরাসরি হরিয়ানা রাজ্য বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কংগ্রেসের তোলা সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং আশঙ্কা খারিজ করেছে।’’ এমনকি, অতীতেও কংগ্রেস বিভিন্ন নির্বাচনে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে বলে কমিশনের অভিযোগ। কমিশনের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর আস্থাহীনতার এমন অভ্যাস ঠিক নয়।’’

এ বারের ভোটে ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। টানা এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরেও ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া’ অতিক্রম করে হরিয়ানায় জয়ের হ্যাটট্রিকের নতুন নজির গড়েছে পদ্মশিবির। প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস জিতেছে ৩৭টিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি) দু’টি এবং নির্দল প্রার্থীরা তিনটি আসনে জিতেছেন। গত মার্চে পঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর নেতা খট্টরকে সরিয়ে দলে অনগ্রসর (ওবিসি) ‘মুখ’ সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং বিজেপি দু’দলই হরিয়ানায় পাঁচটি করে আসনে জিতেছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে সাইনির লড়াই ‘কঠিন’ মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে লড়েই বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.