জল্পনা ছিলই। এবার উত্তর গাজার মানুষজনকে এলাকা ছাড়ার জন্য ৩ ঘণ্টার সময়সীমা দিল ইজরায়েলি সেনা। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। নেতেনিয়াহু সরকারের তরফে বলা হয়েছে অপারেশন শুরু হলে উত্তর গাজা একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেবে। এর আগেই ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়ে দিয়েছিল, গাজায় আকাশ, স্থল ও জলপথে একযোগে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতকালই গাজা সীমান্তে ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী নেতেনিয়াহু। তার পরেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আরও অনেক কিছুই হবে’।
ইজরায়েলি সেনা আগেই ঘোষণা করেছে হামাসের মিলিটারি উইঙ্গের কমান্ডার বিলাল আল কাদেরকে তারা হত্যা করেছে। শনিবার রাতে বোমা হামলায় নিহত হন কাদের। এদিকে, হামলার আশঙ্কায় হাজার হাজার গাজাবাসী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন কয়েকদিন আগে থেকেই। হামাস তাদের বাধা দিচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু গাড়িতে ঘরের জিনিসপত্র চাপিয়ে, কেউবা আবার গাডির মাথায় উঠেও অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন।
ইজরায়েলের ওই সময়সীমা শেষ হাওয়ার কথা রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটেয়। ফলে এখন ইজরায়েলি সেনা এখন অপেক্ষা করছে সরকারের সবুজ সংকেতের জন্য। ইজরায়েলি সেনার তরফে বলা হয়েছে দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের বলা হচ্ছে তারা যেন দক্ষিন গাজার দিকে চলে যায়। ইজরায়েলিল সেনা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনও অপারেশন চালাবে না।
এদিকে, ইজরায়েলের অভিযোগ হামাস যেসব ইজরায়েলিদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে তাদের সেইসব জায়গায় রাখা হচ্ছে যেখানে ইজরায়েল সম্ভাব্য হামলা চালাতে পারে। সম্প্রতি হামাস জানিয়েছে ইজরায়েলি হামলায় ৯ ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। হামাসের ওই মন্তব্যের পরই ইজরায়েলের মানুষদের সম্ভাব্য হামলার জয়গায় রাখার কথা উঠে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ দিন হামাসের হামলায় ১৩০০ ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি তার পর থেকে ইজরায়েলের টানা আগ্রাসনে গাজায় মৃত্যু হয়েছে ২৩০০ জনের। গোটা গাজা সিটি প্রায় ধ্বংস্তূপের আকার নিয়েছে। হাসপাতালে উপছে পড়ছে আহত মানুষের ভিড়।