প্যালেস্টাইনের গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, শুক্রবারে অ্যাম্বুল্যান্সে হামলার ঘটনায় তিনি রীতিমতো স্তম্ভিত। তিনি আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। গাজার আল-শিফা হাসপাতাল-প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুল্যান্সে হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, আল–শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হওয়ার খবর পেয়ে আমি স্তম্ভিত! হাসপাতালের বাইরের রাস্তার উপর পড়ে থাকা দেহের ছবিগুলি মর্মান্তিক! এই প্রসঙ্গেই রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, অবশ্যই এই যুদ্ধে সমাপ্তি টানতে হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতিও খুব ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন গুতেরেস। এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মর্গগুলি লাশে ভরে গিয়েছে। দোকান-পাট সব খালি হয়ে আছে। স্যানিটেশনের অবস্থাও ভয়াবহ। শ্বাসকষ্টজনিত রোগ-অসুখ বেড়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও জায়গাই নিরাপদ নেই।
৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইজরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী ইজরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৯২২৭ জন প্যালেস্টাইনি মারা গিয়েছেন। আর ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলায় তাদের প্রায় ১৫০০ জন নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলের যুদ্ধের ধরন-ধারণ ক্রমশ নির্মম হয়ে উঠছে। শিশুদের উপর হামলার নিন্দা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। তারই মধ্যে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। গাজার সবথেকে বড় রিফিউজি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের দাবি ছিল, শরণার্থী শিবিরে করা তাদের এই এয়ারস্ট্রাইকে হামাসের এক শীর্ষ কম্যান্ডার ও বেশ কিছু সংখ্যক ‘হামাস জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। গাজার রিফিউজি ক্যাম্পে হানায় নিহত হামাসের সেন্ট্রাল জাবালিয়া ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার। ওই হানায় আরও বেশ কয়েকজন হামাস জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি ছিল ইজরায়েলের। তাদের দাবি ছিল, ওই হামাস কম্যান্ডার ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, সিংহের মতো লড়াই করছেন তাঁরা! তাঁরা কখনও ভুলতে পারবেন না, শত্রুরা তাঁদের উপরে কী নৃশংস অত্যাচার করেছে! তাঁরাও গোটা বিশ্বকে ভুলতে দেবেন না, দশকের পর দশক ধরে তাঁদের উপরে কী অকথ্য অত্য়াচারই না হয়েছে!