হড়পা বানে তিস্তা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মর্টার শেল। তাই নদীতে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে এবার সিদ্ধান্ত বদল করেছিলো জলপাইগুড়ি তর্পণ সমিতি। সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় তিস্তা নদীর বদলে এবার পাড়ার পুকুরে তর্পণ সারা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জলপাইগুড়ি তর্পণ সমিতির সদস্যারা শনিবার সকালে জমায়েত হয় জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে থাকা পান্ডাপাড়া পঞ্চায়েতের একটি পুকুরে। সেখানেই এবার তর্পণ সারলেন তাঁরা। এর পাশাপাশি প্রতিবারের মতো এবারেও তর্পণ শেষে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ফল ও বস্ত্র দান করলেন সমিতির সদস্যরা।
সমিতির সদস্য জয়দীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে এই তর্পণ সমিতি গঠন করা হয়। তারপর থেকে আমরা প্রতিবছর তিস্তাতেই তর্পণ করতাম। কিন্তু এবার যেহেতু প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই আমরা তিস্তা পাড়ে যাইনি। আশাকরি দেবীর আশীর্বাদে জলদি তিস্তা নদী বিপদমুক্ত হবে। সামনের বছর আবার আমরা তিস্তাতেই তর্পণ করব।
সমিতির সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর তিস্তায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এরপর নদী থেকে একদিকে যেমন একের পর এক মৃতদেহ ভেসে এসেছে। পাশাপাশি নদী জুড়ে ছড়িয় আছে সেনবাহিনীর অসংখ্য মর্টার শেল। মৃতদেহ এবং মর্টার শেল প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীতে নামতে বারণ করেছে। পাশাপাশি নদীও এখন দূষিত। তাই এবারে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তিস্তা নদীতে তর্পণ করছি না। তার বদলে এবার পান্ডা পাড়া কলোনীতে যেই পুকুর রয়েছে সেখানেই আমরা তর্পন করলাম। পাশাপাশি প্রতিবারের মতো এবারেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো দরিদ্র মানুষের মধ্যে ফল ও বস্ত্র দান করলাম।
2023-10-14