যুদ্ধের অষ্টমদিনের মাথায় বড় সাফল্য ইজরায়েলের। শনিবার ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হল, গাজা স্ট্রিপে তাদের এয়ারস্ট্রাইকে মৃত্যু হয়েছে হামাস সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর এরিয়াল ফোর্সের প্রধানের। জানানো হয়েছে, গাজায় লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চালানো হচ্ছে। গাজা স্ট্রিপে হামাসের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়। সেখানেই মিসাইলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে হামাসের এরিয়াল ফোর্সের প্রধান মুরাদ আবু মুরাদের। ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তাতে হামাস জঙ্গিদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এই আবু মুরাদ।
এক সপ্তাহের যুদ্ধে ইজরায়েলের কমপক্ষে ১৩০০ নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। পাল্টা ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে গাজায় ১৫৩০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ইজরায়েলের দাবি, ১৫০০-রও বেশি হামাস জঙ্গিকে শেষ করেছে তারা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ সবের প্রেক্ষিতে বলেছেন– এটা তো সবে শুরু! এই মন্তব্যের পরে স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযানে নামতে চলেছে ইজরায়েল!
২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাগরিকদের গাজা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইজরায়েলের এই নির্দেশের পরই হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছেন। এখনও অবধি গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তে ১০ হাজারেরও বেশি ঘরছাড়া মানুষ পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ, শনিবার সকাল থেকেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করেছে। হামাসের বিরুদ্ধে পুরোদমে অভিযান শুরুর আগে এই তল্লাশি চলছে। গাজায় যে বিপুল সংখ্য়ক ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের পণবন্দি করে রাখা হয়েছে, তাঁদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিংহের মতো লড়াই করছি। এই সবে শুরু। আমরা কখনও ভুলতে পারব না, শত্রুরা আমাদের উপরে কী নৃশংস অত্যাচার করেছে! আমরা গোটা বিশ্বকেও ভুলতে দেব না যে, দশকের পর দশক ধরে ইহুদিদের উপরে কী অকথ্য অত্য়াচারই না হয়েছে!