গাজায় হামাসের রকেট হামলার পর নাগাড়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ নিহত। হামাসের হাতে পণবন্দি ইজরায়েলের ২০০ জন। সিরিয়া ও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। পাল্টা হমালা চালিয়েছে লেবাননের হেজবোল্লাও। এর মধ্যে চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে কয়েকশো ভারতীয় জওয়ান।
রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন সেনা হিসবে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়ন রয়েছে ৯০০ ভারতীয় সেনা। অন্যদিকে, ইজরায়েল-সিরিয়া সীমান্তে রয়েছেন ২০০ ভারতীয় সেনা। তাঁরা রয়েছেন গোলান হাইডসে। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে ওইসব সেনা রয়েছেন ১৯৭৮ সাল থেকে। ওইসব ভারতীয় সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে ব্লু লাইনে। গত কয়েক দশকে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তের এই জায়গা থেকেই ইজরায়েল ও হেজবোল্লার সংঘাতের শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্য়ে সংঘর্য যাতে না হল তা দেখাই ভারতীয় সেনার কাজ।
উল্লেখ্য়, ভারত রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা দিয়ে সাহায্য করে আসছে ১৯৪৮ সাল থেকে। বর্তমান ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তাতে দুপক্ষেরই টার্গেট হয়ে যেতে পারে ভারতীয় সেনা। গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৪২০৭ সেনার মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ভারতীয় সেনার সংখ্যা ছিল ১৭৫। পাকিস্তানের ১৬৬ ও বাংলাদেশের ১৬০ সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। এখন লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনা। ফলে খুব সহজেই তাঁরা আক্রমণের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
এদিকে, ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি উদ্বেগের বড় বিষয় হল ইজরায়েল পড়শি দেশগুলি ক্রমশ এই সংঘাতে জড়িয়ে যেতে চলেছে। লেবাননের হেজবোল্লা এর মধ্যেই ইজারয়েলি সেনার উপরে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলের রকেটের আঘাতে সিরিয়ায় দুটি এয়ার স্ট্রিপ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে সিরিয়াও এই লড়াইয়ে জড়াতে পারে। ইরান ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন প্যালেস্টাইনে যা হচ্ছে তার জন্য দায় নিতে হবে ইজরায়েলকে। জর্ডন জানিয়ে দিয়েছে প্যালেস্টাইনের শরনার্থীদের কোনও ভার তারা নেবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্যালেস্টাইন সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেও পাল্টি খেয়েছেন। তিনি এখন ইজরায়েলকে সতর্ক করেছেন গাজায় স্থলপথে হামলার চিন্তা ছাড়তে হবে।