চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেক আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) ইস্কনের (ISKCON) সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইস্কন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Das Arrest) কোনও বক্তব্য ও কার্যক্রমে বাংলাদেশের ইস্কন কোনোভাবেই দায়ী নয়। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ইস্কন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসকন বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এ ধরনের নক্কারজনক ঘটনা এবং চলমান আন্দোলনের সঙ্গে ইস্কন বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এই মিথ্যাচার এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার মতো বিষয়গুলোকেও ইস্কনের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
চারু চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু বিশেষ মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মতো অযৌক্তিক দাবি তুলছে।’
‘আমরা সবাইকে পুনরায় অবহিত করতে চাই, অনেক মাস আগেই প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশের ইসকনের সাংগঠনিক পদ/পদবীসহ ইস্কনের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, তাদের দ্বারা সংঘটিত কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।’
চারু চন্দ্র বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতএব, লীলারাজ গৌর দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বক্তব্য এবং কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।’