ISKCON | Amogh Lila Das: রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের কুৎসা! চাপের মুখে ক্ষমা চাইলেন ইসকনের ব্রহ্মচারী অমোঘ লীলা

 রামকৃষ্ণ দেব ও বিবেকানন্দ সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে প্রবল বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন ইসকনের ব্রহ্মচারী অমোঘ লীলা দাস। তাঁর ওই মন্তব্যে ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। এনিয়ে সক্রিয় হয় রাজনৈতিক মহলও। চাপে পড়ে অমোঘ লীলা দাসকে ‘ব্যান’ করে ইসকন। সেই পদক্ষেপের পর এবার এক ভিডিয়ো বার্তা জারি করে ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা।

অমোঘ লীলা দাস ওই ভিডিয়োয় বলেন, রামকৃষ্ণ দেব ও স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে আমার মন্তব্যের জন্য বহু ভক্ত আঘাত পেয়েছেন। তার জন্যই এই ভিডিয়ো বার্তা। যারা ওই মন্তব্যের জন্য আঘাত পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না। কিন্তু প্রশ্ন উত্তর পর্বে কেউ আমাকে রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাতেই অসাবধানতাবশত এই মন্তব্য করে বসি। তার জন্য আমি মন থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব যাতে আমার মুখ থেকে এমন কোনও কথা না বের হয় যাতে অন্য কেউ আঘাত পান।

উল্লেখ্য, ভক্তি-প্রসঙ্গ বা ঈশ্বর-প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অযথা রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ প্রসঙ্গ টেনে আনেন অমোঘ লীলা দাস। রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ মহাবাণীর সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর মাছ-মাংস খাওয়া, ধূমপান করা, ফুটবল খেলতে উপদেশ দেওয়ার বিষয়গুলিকে চরম ব্যঙ্গাত্মক ভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনি।

কিন্তু সেই ভিডিয়ো প্রকাশিত হতেই ছি-ছি পড়ে যায় সর্বত্র। নানা মহল থেকে আপত্তি আসে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিচলিত বোধ করে এবং বিষয়টির সমালোচনা করে একটি ট্যুইটও করেন। তার পরে অমোঘ লীলার বক্তব্য বিষয়ে আরও আপত্তি ও ক্ষোভ তৈরি হয়।

ক্ষোভ বাড়তে বিষয়টি চোখ এড়ায় না ইসকনেরও। তারা তড়িঘড়ি অমোঘ লীলার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়, অমোঘ লীলাকে একমাসের জন্য নিষিদ্ধ করে ইসকন। তারা অমোঘ লীলাকে গোবর্ধনে ১ মাসের জন্য প্রায়শ্চিত্তে পাঠায় তারা।

কলকাতার ইসকন কেন্দ্রের তরফে একটি প্রেস রিলিজ করে অমোঘ লীলার বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.